প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৫১
নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় জরাজীর্ণ ঘরে চলছে সরকারি অফিসে সেবা কার্যক্রম। টিনের ছাউনী দেওয়া ঘরগুলো অনেক আগেই পরিত্যাক্ত হয়েছে। নতুন ভবন না থাকায় এই পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে উপজেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলার পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও উপজেলা তথ্য ও যেগাযোগ প্রযুক্তি কার্যালয় সেবা কার্যক্রম।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, আশিরদশকে নির্মিত টিনসেডের এই ঘরগুলোতে বসে পরিচালিত হতো উপজেলা কার্যক্রম। পরবর্তীতে উপজেলায় বিল্ডিং নির্মাণ হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক কক্ষ না থাকায় পরিত্যাক্ত এই ঘরগুলোতেই এখনো পরিচালিত হচ্ছে উপজেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলার পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও উপজেলা তথ্য ও যেগাযোগ প্রযুক্তি কার্যালয় সেবা কার্যক্রম।
অধিকাংশ ঘরেই বৃষ্টির পানি পড়ে। পুরাতন জরাজীর্ণ ঘরে বসে কাজ করতে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা গ্রহণকারীদের নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নাই কোন উপযুগী বাসভবন। আশিরদশকে নির্মিত কিছু বাসভবন থাকলেও সেগুলো অনেক আগেই বসবাস অনুপযুগী হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে চাকরী করতে এসে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। একদিকে জরাজীর্ণ অফিস ভবন অন্যদিকে থাকার অসুবিধা, ভালো বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় না। কর্মক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া না গেলে সরকারের লক্ষ্য পূরণে মেধা ও শক্তি প্রয়োগ করা যায় না বলে মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) বারহাট্টা কার্যালয়ের প্রকৌশলী অমিত চন্দ্র দে জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ হলেও বারহাট্টা উপজেলায় এখনো হয়নি। উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করতে হলে উপজেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলার পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও উপজেলা তথ্য ও যেগাযোগ প্রযুক্তি কার্যালয় অন্যত্র স্থানান্তর করে টেন্ডারের মাধ্যমে টিনের ঘরগুলো অপসারন করে জায়গা ফাঁকা করতে হবে। তারপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা প্রেরণ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার ববি জানান, কর্মস্থলে তিনি নতুন যোগদান করেছেন। টিনের পরিত্যাক্ত ঘরগুলোতে যে, অফিস কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তন করে টেন্ডারের মাধ্যমে পরিত্যাক্ত ঘরগুলো অপসারন করে জায়গা ফাঁকা করতে তিনি পদক্ষেপ নিবেন। উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার সুবিধার্থে নতুন ডরমিটরী ভবন নিমার্ণে তিনি উদ্যোগ নিবেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন: