রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ

লক্ষ্মীপুরে কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে খুন হলো মাল্টিপারপাস মালিক, মরদেহ উদ্ধার  

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর 

প্রকাশিত:
৩১ আগষ্ট ২০২৩, ১৬:১৯

লক্ষ্মীপুরে ঋণের টাকা আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মো. ইউনুছ আলীর (৫০) মরদেহ সাতদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের কালু হাজী সড়কের পাশে একটি বাড়িতে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৪ আগস্ট তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাতদিন পর মরদেহের সন্ধান পায় তারা।
 
এ ঘটনায় ঘাতক মো. জাবেদ হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।  
নিহত ইউনুছের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সমসেরাবাদ গ্রামের গণি হেডমাস্টার সড়কে বসবাস করতেন।  
আটক জাবেদ একই ওয়ার্ডের কালু হাজি সড়কের মিঝি বাড়ির সফিকের ছেলে। পেশায় তিনি নির্মাণ শ্রমিক এবং চা দোকানি।  
 
ইউনুছের স্ত্রী সুলতানা জামান জানান, ২৪ আগস্ট বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টার দিকে তার স্বামী মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরদিন তিনি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।  
 
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমস অ্যান্ড অপস) হাসান মোস্তফা বলেন, ২৪ আগস্ট বিকেল থেকে ইউনুছ আলী নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন তার স্ত্রী সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে আমরা ভিকটিমের সন্ধান শুরু করি। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জানতে পারি ওই রাতে ভিকটিক কালু হাজী সড়কের বাসিন্দা জাবেদের কাছে আসে। এরপর থেকেই তার সন্ধান মিলছিল না। আমরা জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তখন জাবেদ তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন।  
 
তিনি বলেন, ইউনুছ আলী ‘গ্রামীন বাংলা’ নামের একটি মাল্টিপারপাস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ দিতেন। তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতেন। জাবেদ তার কাছ থেকে দৈনিক আড়াইশ টাকা কিস্তি পরিশোধের শর্তে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঘটনার আগে তিনি কয়েকটি কিস্তি আটকে দেন। ঘটনার রাতে ইউনুছ কিস্তির টাকা নিতে জাবেদের বাড়ির সামনে থাকা তার চা দোকানে যান। এ সময় তাদের দুইজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাবেদ লাঠি দিয়ে ইউনুছের মাথায় আঘাত করেন। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে তিনি নিজেই ইউনুছের মরদেহ দোকানের পেছনে মাটিতে পুঁতে রাখেন। ইউনুছের মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোন পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন।  
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমস অ্যান্ড অপস) হাসান মোস্তফা বলেন, মরদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইউনুছের মোটরসাইকেলটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর