প্রকাশিত:
২৬ আগষ্ট ২০২৩, ১২:০০
দেশে ডেঙ্গু রোগীর অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার। সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে যারা একাধিক ধরনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের জটিলতা বেশি। এমনকি মৃত্যু হারও বেশি। সতর্কতা হিসেবে, শুধু এনএসওয়ান পরীক্ষা না করে আইজিজি, আইএমএম পরীক্ষারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডেন-টু ও ডেন-থ্রি তে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলছেন, ভাইরাসটির একটি ধরন প্রথমবার শরীরে আক্রমণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। সেই একই ধরনে পরে আবার আক্রান্ত হলেও জটিলতা কম থাকে। প্রথম ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি আবার দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা অন্য ধরনে আক্রান্ত হন তবে তার দেহে তৈরি অ্যান্টিবডি প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। এর ফলে তৈরি হয় নানা জটিলতা।মুগদা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নিয়াতুজ্জামান জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি যদি জ্বর আসার পাঁচ দিনের মধ্যে পরীক্ষা না করেন তাহলে তার এনএসওয়ান নেগেটিভ আসে। তবে পাঁচ দিন পর আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষায় ধরা পড়ে আগেও তার ডেঙ্গু ছিল কি-না।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের জিনোম সিকোয়েন্সিং এ দেখা যায়, দেশে ৭৫ ভাগ ডেঙ্গু আক্রান্তই ডেন-টু থেকে। আর ১৮ ভাগ ডেন-থ্রি। ৬ শতাংশ রোগীর দেহে মিলেছে ডেন-টু ও ডেন থ্রি।
মন্তব্য করুন: