প্রকাশিত:
২৪ আগষ্ট ২০২৩, ১৬:১২
মাছ-মাংস থেকে শুরু করে শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই ছুটছে লাগামহীনভাবে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্ক আরোপের পর দেশের বাজারে এই পণ্যটি নিয়েও চলছে অস্থিরতা।
এর মধ্যে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আলুর দাম। গত দুই দিনে রাজধানীতে বস্তা প্রতি প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে আলুর দাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে আড়তগুলোয় রাজশাহীর আলুর ৬০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা। দুই দিন আগেও যা ছিল এক হাজার ৯২০ টাকা। এছাড়া বগুড়ার আলুর ৬৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ টাকা। যা দুইদিন আগে ১০০ টাকা কমে দুই হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
এছাড়া পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রমপুরের আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা এবং বগুড়ার আলু বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রমপুরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা এবং বগুড়ার আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, দুইদিন আগেও আলু দাম কম ছিল। গত দুই দিনে পাল্লা প্রতি সব ধরনের আলুর দাম পাঁচ টাকা বেড়েছে। আর বস্তায় বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা।
আলুর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতা মো. বাদল বলেন, রাজশাহীর আলু প্রায় শেষের দিকে। বাজারে এই আলুর সরবরাহ নেই। যার করণে দাম বেশি। আব্দুল খালেক নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, আমরা আড়তদারদের কাছ থেকে যে দামে আলু কিনি দুই এক টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। দাম বাড়ার কারণ আমরা বলতে পারব না। এটা বলতে পারবে আড়তদার ও হিমাগার মালিকরা।
কারওয়ান বাজারের আড়তদার একতা বাণিজ্যালয়ের বিক্রেতা মো. ইউনূস বলেন, আলু সব ধরনের তরকারিতেই ব্যবহার হয়। বাজারে প্রতিটি সবজির দামই বেশি। তাই আলুর দামও কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া এবার আলু উৎপাদনের মৌসুমে বৃষ্টি ও খরার কারণে প্রচুর আলু নষ্ট হয়েছে। যার কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় আলুর সরবরাহ কম। তাও দামও বেশি।
শাহনাজ সাথী নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা এক প্রকার আলুর বিভিন্ন তরকারি খেয়েই জীবনযাপন করছিল। সেখানেও আর স্বস্তি নেই। যে আলুর দাম ছিল ১৮-২০ টাকা, সেই আলু এখন ৪০ টাকার বেশি। মাঝে কিছুদিন তো ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে।
ফরহাদ হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, এটা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। বাজারে যখন কোনো একটি পণ্যের দাম যৌক্তিকভাবে বাড়ে, তখন ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে অন্যগুলোরও দাম বাড়িয়ে দেয়। এখন আলুর দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। তারপরও দাম বেশি।
মন্তব্য করুন: