প্রকাশিত:
২০ আগষ্ট ২০২৩, ১৮:০২
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৪৪ জন।
যা গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিল ৪১ জন ।
রোবাবার (২০ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন। এর আগে শনিবারও এক শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু হয় বলে জানায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া তিন নারী হলেন, নাছরিন আক্তার (৩৭), রুমানা আক্তার (২৪) এবং রাজ লক্ষ্মী শর্মা (৫৯)।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ৩৭ বছর বয়সী নাছরিন আক্তার ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে ১৯ আগস্ট নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া আরেক রোগী ২৪ বছর বয়সী রুমানা আক্তার ১৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৯ আগস্ট তিনিও মারা যান। তাদের দুইজনেরই নন স্ট্রাকচারাল প্রোটিন-১ (এনএস১) পজেটিভ শনাক্ত হয়েছিল। তাছাড়া, ৫৯ বছর বয়সী রাজ লক্ষ্মী শর্মা ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি মারা যান। তিন জনই ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
এদিকে, ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়িয়েছে গত চার বছরের রেকর্ড। জেলা স্বাস্থ্যবিভগের হিসেব অনুযায়ী, গত চার বছরের মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গুতে কেউ মারা না গেলেও ২০২১ সালে মারা যায় মাত্র ৫ জন। কিন্তু ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় কয়েকগুণ। ওই বছর মৃত্যু হয়ে ৪১ জনের। কিন্তু চলতি বছরের আরও চার মাস বাকি থাকতেই ছাড়িয়েছে আগের বছরের মৃত্যুর সংখ্যা। এ বছর চলতি আগস্ট মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এ ছাড়া মাসের হিসেবেও গত বছরের একই সময়েও চেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি এ বছর। ২০২২ সালে আগস্টে যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল মাত্র ১১৪ জন, সেখানে এবছর আগস্টের প্রথম ২০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১ হাজার ৮৩৫ জন। যা গত বছরের আগস্ট মাসের চেয়ে প্রায় ১৩ গুণ বেশি। অন্যদিকে গত বছর আগস্ট মাসে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু না হলেও চলতি বছরের আগস্ট মাসের সর্বশেষ ২০ দিনেই মারা গেছে ১৯ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০৩ জন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩২ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৭১ জন। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬১১ জন।
বাড়ির আশেপাশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি জমে থাকা পানিতে যাতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী।
মন্তব্য করুন: