প্রকাশিত:
৭ আগষ্ট ২০২৩, ১৭:০০
টাঙ্গাইলের আরও পাঁচ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরগুলো উদ্বোধন করবেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালপুর, দেলদুয়ার, ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবুল হাশেম, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় তিন হাজার ৫১৪ জন ক শ্রেণির ভূমি ও গৃহহীনদের তালিকা করা হয়। এ পর্যন্ত ১২টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে এক হাজার ১৭৪টি ঘর, দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজার ১৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৩০৯টি, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ৩৪৯টি, তৃতীয় পর্যায়ের তৃতীয় ধাপে ৩১টি ও চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০৭টি ঘর উদ্বোধন করা হয়েছে।
এছাড়াও চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪টি ঘর উদ্বোধন করা হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৭টি, ঘাটাইলে ৪০, নাগরপুরে ৩৮, মির্জাপুরে ৬৪, কালিহাতীতে ১৮, ভূঞাপুরে ৪২, বাসাইলে ১৫ ও সখীপুরে ৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। বুধবার ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইল, কালিহাতী ও ঘাটাইল উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, আশ্রয়ণের ঘর করার জন্য এ পর্যন্ত ১২টি উপজেলায় ৭৬ দশমিক ১৬ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৬ কোটি এক লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৫২ একর জমিতে আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪০ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
অপরদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইল, কালিহাতী ও ঘাটাইল উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করা হবে।
মন্তব্য করুন: