বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
  • শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে আরো ২৪৪ জন আক্রান্ত, সবচেয়ে বেশি বরিশালে
  • চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, হেলপার গ্রেপ্তার
  • মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে ডুবল খুলনা
  • ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
  • পুলিশে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে
  • পালানোর সুযোগ থাকবে না, কাকে বললেন ইশরাক?
  • কালীগঞ্জে ১৬ ককটেলসহ বিএনপি কর্মী আটক
  • শুরুতেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ

মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে ডুবল খুলনা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৫, ১৮:০২

আষাঢ়ের তৃতীয় দিনে টানা বৃষ্টির পানি ডুবল মহানগরী খুলনা। গতকাল সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত ও সারা দিন থেকে থেমে বৃষ্টি। এতে নগরীর অধিকাংশ সড়ক, নগরীর নিম্ন অঞ্চল, অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। ডুবে যায় অধিকাংশ বাড়ি ও দোকানপাটের নিচতলা।

এদিন খুলনায় মৌসুমের সব্বোর্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। নগরবাসীর অভিযোগ নগরীর সড়ক, ড্রেনেজ ও সুয়ারেসসহ উন্নয়নকাজের ধীরগতির ফলে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই অনেক এলাকা তলিয়ে যায়।

নগরী ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ রাস্তাঘাটের ড্রেন উপচে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।এর মধ্যে রয়্যাল মোড়, দোলখোলা মোড়, বাইতিপাড়া মোড়, খানজাহান আলী সড়ক, শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ রোড, বাস্তুহারা, চানমারী, লবণচরা, টুটপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ইকবালনগর, বাগমারা, বানিয়খামার, মিস্ত্রিপাড়া, নতুন বাজার, সোনাডাঙ্গা আবাসিকসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

নগরীর বানিয়াখামার এলাকার জাহিদুল ইসলাম বলনে, সিটি করপোরেশন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সড়ক উচু ও ড্রেন তৈরি করছে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে সব তলিয়ে যাচ্ছে।

কোন কাজ শুরু হলে আর শেষ হয় না। ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে আছে। তাই বৃষ্টির পানি বাড়িঘরে প্রবেশ করছে। দোলখোলার বাসিন্দা গৌতম, সোহেল রানা বলেন, ওয়াসা দিনের পর দিন স্যুয়ারেজ লাইন বসাচ্ছে। ৩-৪ মাস কাজ চলছে তো চলছে।

রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থা। স্বাভাবিক সময়ে হাঁটার অবস্থা নেই। বৃষ্টিতে আরো খারাপ অবস্থা।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, রাস্তা উঁচু, ড্রেন নির্মাণ ও স্যুয়ারেজ কাজে খুলনায় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু নাগরিকরা কোনো সুফল পাচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যাচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো কাজ শুরু হলে আর শেষ হতে চায় না। নগরবাসী এ অবস্থা থেকে বাঁচতে চান।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটা এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টি।

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিুসুর রহমান জানান, করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। উন্নয়ন কাজগুলো শেষ হলে নগরবাসী সুফল পাবেন বলে আশা করছি।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর