প্রকাশিত:
১৬ জুন ২০২৫, ১৪:৩১
সংবাদ বিশ্লেষক কাজী রুনা বলেছেন, ২০০৭ সালের মতো আরো একবার হতাশ নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রাজনীতি থেকে আরো একবার রণে ভঙ্গ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের জন্য। আন্তর্জাতিক চাপ আর মিত্ররা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ইমেজ সংকটে পড়েছেন ড. ইউনূস। সম্প্রতি একটি ইউটিউভ ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী রুনা বলেন, এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে কমপক্ষে দুটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসিতে ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে একাধিক আইনি জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেফ এক্সিটের জন্য লন্ডন বৈঠকে যে পথ বের করা হলো তাতে রাজি নয় দেশীয় মিত্ররা। সব মিলিয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাটা জটিল হয়ে পড়ছে অধ্যাপক ইউনূসের জন্য।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ৩ মে বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠির একটি লাইন ছিল এমন— ‘যাদের সঙ্গে পেলে জনগণের সামনে একটি সবল ও উজ্জ্বল বিকল্প রাখা সম্ভব হতো তাদের আমি সঙ্গে পাচ্ছি না।’ নোবেল পাওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে তিনি রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরুর যে তৎপরতা দেখিয়েছিলেন, সেটি শেষ করে দিয়েছিলেন এই চিঠির মাধ্যমে।
তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সালে শেষ হলেও ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ড. ইউনূস দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন তার নিয়োগকর্তা হিসেবে বৈষমবিরোধী ছাত্রদের সমর্থন নিয়ে এই যাত্রা শুরু করেছিলেন।
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের পর যে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালে তারা হয়ে যায় অধ্যাপক ইউনূসের মিত্র। কিন্তু ১০ মাসের মধ্যেই ড. ইউনূসের যাত্রাপথে বড় বড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই চির ধরে ইমেজে। তার সরকার ক্রমেই হতে শুরু করে একপক্ষীয়, দূরত্ব বাড়ে মিত্র বিএনপির সঙ্গে। সদ্য গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের পরোক্ষ হস্তক্ষেপে প্রশাসনিক ব্যর্থতা হয়ে ওঠে স্পষ্ট।
আর জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নিয়ামক সেনাবাহিনীর ভিতরেও দেখা দেয় সন্দেহ ও দ্বিধার আভাস। বাঘের পিঠে সওয়ারি ইউনূসের দরকার সেফ এক্সিট।
মন্তব্য করুন: