প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৫, ১৩:০২
একসময় বিরল বলে বিবেচিত হলেও, অ্যাপেনডিক্স ক্যান্সারের ঘটনা এখন তরুণদের মধ্যেও দ্রুত বাড়ছে। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের মতে, প্রতি বছর প্রতি মিলিয়নে মাত্র ১ থেকে ২ জন আক্রান্ত হতেন এই ক্যান্সারে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই পরিসংখ্যানে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে—বিশেষত জেনারেশন এক্স এবং মিলেনিয়ালদের ক্ষেত্রে।
Annals of Internal Medicine-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, এখন প্রতি তিনটি অ্যাপেনডিক্স ক্যান্সার কেসের একটিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ৫০ বছরের নিচে। তুলনামূলকভাবে, কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই বয়সে আক্রান্তের সংখ্যা ৮টির মধ্যে মাত্র ১টি। এই পরিবর্তন চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, বিশেষ করে কারণ এই ক্যান্সারের উপসর্গগুলো খুব সাধারণ এবং অনেক সময় অন্য রোগ হিসেবে ভুল ধরা পড়ে।
অ্যাপেনডিক্স ক্যান্সারের এমন ৫টি প্রাথমিক লক্ষণ যা সহজে চোখ এড়ায়:
১. ডান নিচের পেটে অস্পষ্ট ব্যথা
এটি অ্যাপেন্ডিসাইটিস নয়, কিন্তু এরকমই অনুভব হতে পারে। ব্যথাটি সাধারণত মৃদু এবং স্থায়ী হয়। অনেক সময় গ্যাস, মাসিকব্যথা বা হজমের সমস্যার সঙ্গে মিশে যায়।
২. হঠাৎ মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন
কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া শুরু হওয়া। এটি আইবিএস বা ডায়েটের পরিবর্তনের মতো মনে হলেও এটি অ্যাপেনডিক্স টিউমারের ইঙ্গিত হতে পারে।
৩. পেটে ফোলাভাব বা অতিরিক্ত গ্যাস
বিশেষত যেসব ক্যান্সার মিউকাস তৈরি করে, যেমন মিউসিনাস অ্যাডিনোকারসিনোমা, তা পেটের মধ্যে তরল জমে ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে। এটি একদিনের গ্যাস নয়, বরং কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।
৪. হালকা রক্তশূন্যতা এবং ক্লান্তি
গোপন অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা ধীরে ধীরে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং শ্বাসকষ্ট তৈরি করে।
৫. হঠাৎ ওজন হ্রাস
খাবার ও ব্যায়াম অপরিবর্তিত থাকা সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া এই ক্যান্সারের এক বিপজ্জনক ইঙ্গিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন: