প্রকাশিত:
২৫ মে ২০২৫, ১৮:০১
বিশ্বজুড়ে আলোচিত স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক অবশেষে বাংলাদেশেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে। গত ২০ মে, মঙ্গলবার থেকে দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য দুটি আলাদা প্যাকেজ চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি ‘স্টারলিংক রেসিডেন্স’ এবং ‘রেসিডেন্স লাইট’।
স্টারলিংক রেসিডেন্স প্যাকেজটি মূলত ছোট পরিবার বা স্বল্প ব্যবহারের জন্য তৈরি। এর মাসিক খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২০০ টাকা। অন্যদিকে, বড় পরিবার বা হেভি ইউজারদের কথা মাথায় রেখে চালু করা হয়েছে ‘রেসিডেন্স লাইট’ প্যাকেজ, যেখানে মিলবে আনলিমিটেড ডাটা ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা। এর জন্য মাসে খরচ পড়বে ৬ হাজার টাকা।
তবে যে কেউ এই ইন্টারনেট সেবা পেতে চাইলে এককালীন সেটআপ খরচ হিসেবে ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। যদিও এই খরচ সাধারণ ব্রডব্যান্ড বা অপটিক ফাইবার ইন্টারনেটের তুলনায় বেশি, তবুও পৃথিবীর নানা প্রান্তে স্টারলিংক দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
দূরবর্তী ও দুর্গম অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্টারলিংক কার্যকরী একটি সমাধান। স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্কের অধীনে পরিচালিত এই প্রকল্পটি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮,৫০০ কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য মোট ৪২,০০০ স্যাটেলাইট মহাকাশে স্থাপন করে বৈশ্বিকভাবে একটি শক্তিশালী ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
প্রতিটি স্যাটেলাইট ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,১০০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থান করে এবং পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক কভারেজ নিশ্চিত করে। প্রতিটি স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল গড়ে পাঁচ বছর।
স্টারলিংকের অন্যতম বড় সুবিধা হলো, এটি ব্যবহার করতে বিশেষ কোনো বড় যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না। নির্দিষ্ট কিট সেটআপ করে সাধারণ স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ দিয়েই ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়। ফলে যেসব এলাকায় এখনো অপটিক ফাইবার পৌঁছায়নি, সেসব অঞ্চলের জন্য এটি হতে পারে অন্যতম কার্যকরী সমাধান।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এই নতুন সংযোজন প্রযুক্তিগতভাবে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য।
মন্তব্য করুন: