সোমবার, ১৯শে মে ২০২৫, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকাসহ ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের শঙ্কা নদীবন্দরে সতর্কতা
  • পাকিস্তানে লস্কর নেতাকে গুলি করে হত্যা
  • বন্ধ হচ্ছে না ‘মব সন্ত্রাস’ বাড়ছে আতঙ্ক-উদ্বেগ
  • নগর ভবন এলাকা ‘ব্লকেড’, উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবি
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজাতির ভবিষ্যৎ- আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
  • সুখ পেতে অতীত ভুলতে হবে না
  • ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে পাকিস্তানের কড়া বার্তা
  • মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারো বাংলাদেশী প্রবাসী
  • জামিন না পেয়ে এজলাস কক্ষে কাঁদলেন পর্দার হাসিনা
  • নাগরপুরে ধান চাষে কৃষকের মুখে হাসি

ছুরিকাঘাতে নিহত ফটোগ্রাফার নুর ইসলামের বাড়িতে শোকের মাতম

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৫, ১৬:৪৯

দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত ফটোগ্রাফার নুর ইসলাম (২৬) বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে পরিবার ও এলাকাবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো গ্রাম। শনিবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহতের মা ফজিলাতুন্নেছা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন ছেলের শোকে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নিহত নুর ইসলামের বাবা আবুল ফকির আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আমার ছেলের বন্ধু ইমন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে।” তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গত ১৬ মে (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দুর্গা মন্দির এলাকার এক গলিতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন নুর ইসলাম। প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নুর ইসলাম ওই রাতে একটি অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ইমন। পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা নুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে এবং তার সঙ্গে থাকা দুটি দামি ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয়।

নুর ইসলাম রাজধানীর শংকর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও বিয়েতে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

পরিবারের দাবি, বন্ধু ইমনের আচরণ সন্দেহজনক। ঘটনার সময় সে পাশে থাকলেও নুরকে রক্ষা করেনি এবং ঘটনার পর থেকেই সে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিষয়টি তদন্ত করে ইমনের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

নুর ইসলামের আকস্মিক ও মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ও এলাকার মানুষের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর