সোমবার, ১৯শে মে ২০২৫, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকাসহ ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের শঙ্কা নদীবন্দরে সতর্কতা
  • পাকিস্তানে লস্কর নেতাকে গুলি করে হত্যা
  • বন্ধ হচ্ছে না ‘মব সন্ত্রাস’ বাড়ছে আতঙ্ক-উদ্বেগ
  • নগর ভবন এলাকা ‘ব্লকেড’, উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবি
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজাতির ভবিষ্যৎ- আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
  • সুখ পেতে অতীত ভুলতে হবে না
  • ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে পাকিস্তানের কড়া বার্তা
  • মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারো বাংলাদেশী প্রবাসী
  • জামিন না পেয়ে এজলাস কক্ষে কাঁদলেন পর্দার হাসিনা
  • নাগরপুরে ধান চাষে কৃষকের মুখে হাসি

জবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর ব্যাংকের সিল জালিয়াতি করে কর্মচারীর অর্থ আত্নসাৎ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৩ মে ২০২৫, ১৭:২৯

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে গুরুতর এক দুর্নীতি এবং অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখার সিল ও ব্যাংকের দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের সাক্ষর নকল করে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মকাণ্ড করে আসছেন ওই দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নাজমুল নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা সন্দেহজনক ভাবে গত ৩ মে কর্মচারী নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এবং তার কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখার নামে "নগদ গ্রহণ" নামক অনুরূপ একটি নকল সিল উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ওই উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সিলটি তার কাছ থেকে গত ৫ মে জব্দ করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে ওই কর্মচারী নাজমুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে কাজ করছেন কর্মচারী নাজমুল। প্রায় দশ বছর যাবৎ তিনি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা নেয়া, তথ্য দেয়ার কাজ করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, মার্কশিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলনের জন্য নির্দিষ্ট রশিদের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমার রশিদসহ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নেন।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজ উত্তোলনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মাফিক জরুরি ফি দেয়ার রশির প্রদান করেন। শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ে কাগজ উত্তোলনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকে ফি জমা দিয়ে রসিদ দিলে তা নির্ধারিত সময়ের তুলনায় দ্রুত হয়।

তবে এই রীতিকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন কর্মচারী নাজমুল। শিক্ষার্থীরা রসিদ পূরণ করে নাজমুলের নিকট ব্যাংকে টাকা জমা দিতে বললে ব্যাংকে টাকা ও রসিদ জমা না দিয়ে নিজের তৈরিকৃত ব্যাংকের নকল ছিল ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় অংশ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জমা দিতেন তিনি। ফলে টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করতেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমি সার্টিফিকেট তুলতে গিয়েছিলাম। আমার ইমার্জেন্সি কাগজ লাগতো। সেই সময় উনি আমাকে বলে রসিদ লিখে দাও আমি ব্যাংকে জমা দিয়ে দ্রুত করিয়ে দিবো।"


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর