প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৫, ১৩:৪০
চলতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর আয়োজিত হবে নির্বাচন। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার এ নিয়ে কথা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
গতকাল মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে সাঁতার ফেডারেশনের 'সেরা সাঁতারর খোঁজ'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় বিসিবির আসন্ন নির্বাচনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখবেন বলে আশ্বস্থ করেন তিনি।
বিসিবির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়তো মনে হয় অক্টোবর। আশা করছি নতুন গঠনতন্ত্রের আলোকেই নির্বাচনটা করা যাবে। আমরা ক্রিকেটে... শুধু ক্রিকেটে নয়, গোটা ক্রীড়াঙ্গনকেই চাচ্ছি শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক না করে রাখতে। শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক হয়ে থাকাতে খেলাগুলো উপভোগ্য থাকছে, তবে সারা দেশের যারা সম্ভবনাময়ী রয়েছে, তাদের অংশগ্রহণের সুযোগটা সীমিত হয়ে এসেছে। তো আমরা এটাকে আবার সারা দেশে নিয়ে যেতে চাই।
সেটার জন্য সারা দেশে কমিটি করছি। কোথায় কোথায় স্টেডিয়ামের সংস্কার প্রয়োজন, কী কী প্রয়োজন-সেগুলোর কাজ করছি। ইতিমধ্যে তিনটা স্টেডিয়াম ক্রিকেটের জন্য আমরা সংস্কার করে দিয়েছি। পাশাপাশি সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারি... এখন যেমন ঢাকায়, চট্টগ্রামে আর সিলেটে হয় এটার পাশাপাশি আমরা উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ সেদিকেও যাতে ম্যাচ আয়োজন করতে পারি, সেদিকেও নজর দিচ্ছি।'
বিগত সময়গুলোতে বিসিবি প্রধানের পদে রাজনৈতিক ক্ষমতাশীল নেতৃবৃন্দদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে। সামনের নির্বাচনেও একই জিনিস হবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। সবশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন প্রায় ১২ বছর সামলেছেন বিসিবির বোর্ড। তার আগেও দেশের ক্ষমতায় যেই দল থাকতেন, তাদের দলের ক্ষমতাশীল নেতারাই সামলিয়েছেন ক্রিকেট বোর্ড। বিগত সময়ে বোর্ডে এই রাজনৈতিক প্রভাবকে 'দুঃখজনক' বলে মনে করে আসিফ মাহমুদ।
এ সময় রাজনৈতিক প্রভাব ক্রীড়াঙ্গনের বিগত সময়ে অনেক ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এটা দুঃখজনক যে, আমরা এমন জিনিসের মধ্যে রাজনীতি প্রবেশ করাই, যেখানে আসলে এটার কোনো কাজই নেই। অপ্রয়োজনে আমরা প্রভাব বিস্তার কিংবা অকারণে এটাকে নিয়ে যাই। শেষে এটা সব কিছু ধ্বংস করে। রাজনীতি ক্রীড়াঙ্গনের ক্ষতি করেছে বিগত সময়গুলোতে। অভিজ্ঞতাটা ভালো না অথবা ভালো কিছুর নজির নেই।'
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, 'খেলাধুলোর মধ্যে বাহিরের লোক তারাই আসতে পারবে, যারা কিনা এটাতে স্পনসর হিসেবে কাজ করবে, প্রচার করবে। সেভাবেই বাকি ফেডারেশনগুলো আমরা সাজিয়েছি... সাজানোর চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ। বিসিবির ক্ষেত্রেও আমাদের পলিসি সেটাই থাকবে। ক্রীড়াঙ্গনেও বিগত সময় এগুলো হয়েছে... আমরা দেখেছি, কারা আসলে খারাপ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারা ফিক্সিংয়ের-ট্রাফিকিংয়ের সঙ্গে জড়িত ক্রীড়াঙ্গনে।
এখন আবার তারা রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দলের আশ্রয় নিয়ে ফের ক্রীড়াঙ্গনে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করছে। তবে আমাদের দিক থেকে আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করবো, এটা যাতে না হয়। বিগত সময়গুলো যাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে আর ক্রীড়াঙ্গনে আসতে দেব না। সেটা ক্রিকেট বোর্ড থেকে যে কোনো ফেডারেশন হোক। আমরা আমাদের নিয়ম অনুসারেই এগোব।'
মন্তব্য করুন: