সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

সুস্থ সম্পর্কের জন্য ৬টি কার্যকর পরামর্শ

জীবনযাপন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৫ মে ২০২৫, ১৫:৩৮

সুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে শুধু ভালোবাসা নয়, দরকার বোঝাপড়া, সম্মান ও সচেতন প্রয়াস। সম্পর্ক মানেই শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক নয়, বরং পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা সহকর্মীর সঙ্গেও আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সব সম্পর্ককেই আরও দৃঢ় ও অর্থবহ করে তুলতে কিছু সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। নিচে দেওয়া হলো সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার ছয়টি কার্যকর টিপস:

১. বাস্তববাদী থাকুন

স্বপ্ন দেখা অবশ্যই ভালো, কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতি-অবাস্তব চাওয়া-পাওয়া অনেক সময়েই হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একজন সঙ্গী কোনো চাহিদা পূরণকারী বা মন-ভোলানো জাদুকর নন। তারা একজন পূর্ণ ব্যক্তি, যাঁর নিজের চাওয়া-পাওয়াও আছে। সুস্থ সম্পর্ক মানে হলো- উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়া, অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আপস।

২. নিজের অনুভূতি ও প্রয়োজন সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলুন

আপনার সঙ্গী মনোবিদ নন- তিনি আপনার মনের কথা জানতে পারবেন না যদি না আপনি তা প্রকাশ করেন। নিজের ভয়, চাওয়া, ভালো লাগা বা অস্বস্তির কথা স্পষ্টভাবে বলুন। মনে রাখবেন, সময়ের সঙ্গে চাহিদা বদলায়, আর সেই বদল সম্পর্কে একে অপরকে জানানো অত্যন্ত জরুরি। বারবার একে অপরের দিকে ফিরে তাকানোর মধ্যেই গড়ে ওঠে গভীর বন্ধন।

৩. পারস্পরিক পার্থক্যকে সম্মান করুন

দুটি মানুষ যতই একরকম হোক না কেন, তারা একে অপরের থেকে আলাদা। সম্পর্ক মানে নিজের সত্তা হারিয়ে ফেলা নয়। বরং মিলের পাশাপাশি পার্থক্যগুলোকেও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু শেখা কিংবা নতুনভাবে চিন্তা করার সুযোগও এতে তৈরি হয়।

৪. দ্বন্দ্বকে ভয় পাবেন না

যেখানে দুটি ভিন্ন চিন্তার মানুষ একসঙ্গে থাকে, সেখানে মতভেদ হবেই। কিছু সমস্যা সমাধানযোগ্য, কিছু হয়ত দীর্ঘস্থায়ী। তবে তা সম্পর্ক ভাঙার সংকেত নয়। আসল ব্যাপার হলো- কীভাবে সেই সমস্যা মোকাবিলা করছেন। খুশি দম্পতিরা ঝগড়া এড়িয়ে যান না, বরং হাস্যরস ও বিশ্বাসের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হন।

৫. অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না

দেখতে যতই ঝলমলে লাগুক, অন্যের সম্পর্কের ভিতটা আপনি জানেন না। অন্য দম্পতি বা বন্ধুদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন। প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা, প্রতিটি যুগলই নিজেদের ছন্দে চলাফেরা করে। গুরুত্ব দিন আপনি এবং আপনার সঙ্গী কেমন অনুভব করছেন- সেটাই মূল।

৬. নিজেই উদ্যোগ নিন

সঙ্গীর দোষ খুঁজে বের করার বদলে নিজেই ভালো সঙ্গী হতে চেষ্টা করুন। কীভাবে সঙ্গীকে খুশি করা যায়, তা ভাবুন। প্রশংসা করুন, ভালোবাসা প্রকাশ করুন। অনেক সময় আমরা প্রিয় মানুষদের যত্ন নেওয়াকে ভুলে যাই। অথচ গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পর্ক সুন্দর রাখতে একবার সমালোচনার জন্য পাঁচবার প্রশংসা জরুরি।

একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে সময়, মনোযোগ আর শ্রদ্ধার ওপর। এই ছোট ছোট টিপসগুলো অনুসরণ করলে যেকোনো সম্পর্ক হতে পারে আরও গভীর, অর্থবহ এবং দীর্ঘস্থায়ী।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর