শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

রক্তে প্লাটিলেট বাড়ে যা খেলে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৩, ১৩:৩৭

প্লাটিলেট হলো রক্তের এক ধরনের ক্ষুদ্র কণিকা। যা আমাদের দেহের রক্ত জমাট বাঁধতে ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।

দেহের রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই প্লাটিলেটের সংখ্যা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

প্লাটিলেট কমার কারণ দুটি, প্লাটিলেট ধ্বংস হয়ে যাওয়া আর নয়তো পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি না হওয়া। যখন রক্তের প্লাটিলেট কাউন্ট কমতে শুরু করে, তখন তাকে বলা হয় ‘থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া’।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ- অ্যানিমিয়া বা রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, লিউকেমিয়া, কেমোথেরাপি, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ভিটামিন-বি ১২ এর অভাব

প্লাটিলেট কমে যাওয়ার লক্ষণ:

* শরীরের যেকোনো স্থান থেকে সূক্ষ্ম রক্তপাত, যা পিনপয়েন্টের আকারে দেখা দেয়। ত্বকে বেগুনি রঙের চিহ্ন দেখা যায়। কারণ ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়।

* মাসিকে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া।

* মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে।

* প্রস্রাব বা মলের সঙ্গে রক্তপাত।

* শরীরের কোথাও কাটলে অনেকক্ষণ ধরে রক্তপাত হয়।

* ডেঙ্গজ্বর হলে করণীয়: ডেঙ্গজ্বর হলে প্লাটিলেট কত তা ঘন ঘন না দেখে বরং রোগীর অন্যান্য বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন। যেমন- রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা, রোগী পানিশূন্যতায় ভুগছে, রক্তের পিসিভি বা হেমাটোক্রিট কেমন তা দেখা উচিত। যদি এমনটি হয় তাহলে পর্যাপ্ত তরল দিন বা ফ্লুইড কারেকশন করুন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। প্রয়োজন হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। দেরিতে হাসপাতালে আসলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।

* প্লাটিলেটের পরিমাণ বেড়ে গিয়েও দেখা দেয় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ রক্তজমাট বেঁধে যাওয়ার মতো বিপত্তি। যদিও এমন কিছু খুব একটা দেখা যায় না।

*প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে ত্বকের নিচে এক ধরনের রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। ত্বকে ছোট ছোট লাল রঙের র‌্যাশ, দাঁতের গোড়া থেকে রক্তক্ষরণ, নাক ও গলা থেকে রক্তক্ষরণ।

 

রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে যা খাবেন:

 

আয়রন: শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে তার ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। শরীরের টিস্যুতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহনকারী লোহিত রক্তকণিকা কমতে পরে এর অভাবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা এবং প্লাটিলেটের সংখ্যাও বাড়তে পারে।

 

বেদানা: শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাতে দরকারি খনিজ উপাদানসহ নানা পুষ্টি রয়েছে বেদানায়। দুর্বল শরীরের ধকল কাটিয়ে উঠতে বেদানা খুবই উপকারী। পাশাপাশি আয়রন আছে বলে রক্তের জন্য এটা উপকারী। ডেঙ্গুজ্বর সারাতে ও প্লাটিলেটের সংখ্যা নরমাল রাখতে এটা উপকারী।

 

পেঁপে: রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে খেতে পারেন পেঁপের জুস। অণুচক্রিকা বাড়াতে সাহায্য করে পেঁপেপাতা। তাই ডেঙ্গু রোগীর জন্য এটা উপকারী। পেঁপেপাতা বেটে রস তৈরি করে পান করতে পারেন। এছাড়া পেঁপেপাতা সিদ্ধ করেও খেতে পারেন।

 

ডাব: ডাবের পানিতে রয়েছে ইলেট্রোলাইটস বা খনিজ, যেটা ডেঙ্গুজ্বরে খুবই উপকারী উপাদান।

 

ব্রোকলি: পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি ব্রোকলিতে রয়েছে ভিটামিন কে, রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে এটা সাহায্য করে। দ্রুত প্লাটিলেট কমে গেলে প্রতিদিন খাবারে অবশ্যই ব্রোকলি রাখবেন। এতে খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।

 

পালং শাক: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আয়রন এর  অন্যতম উৎস হল পালং শাক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এটা। পাশাপাশি রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতেও এটা উপকারী।

 

মিষ্টি কুমড়া: মিষ্টি কুমড়া রক্তের প্লাটিলেট তৈরি করতে বেশ কার্যকরী। এছাড়া মিষ্টি কুমড়াতে আছে ভিটামিন ‘এ’, যা প্লাটিলেট তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া এবং এর বীজ খাবেন।

 

লেবু: লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ভিটামিন সি রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে। ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। ফলে প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকেও রক্ষা পায়।

 

আমলকি: আমলকিতেও আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। আমলকিতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ফলে আমলকী খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা পায়।

 

অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা রক্তকে বিশুদ্ধ করে। রক্তের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতেও অ্যালোভেরা উপকারী। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়ে। তবে অবশই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর