সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

১৬ বছর পর ঘুরে দাঁড়াবে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বস্ত্র কারখানা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩

রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্ত্র কারখানা ‘রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলস’ আজ কেবলই স্মৃতি। প্রায় ৩১ একর জমির উপর ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করেছিল এই কারখানা। এক সময় এই মিল কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছিল, উৎপাদন হতো উন্নতমানের সুতা।

কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায়, অর্থাৎ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন না করায় কমে যায় উৎপাদন ও বাজারের চাহিদা। একে একে বাড়তে থাকে লোকসান। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’-এর মাধ্যমে বিদায় করা হয় শ্রমিকদের। বন্ধ হয়ে যায় কারখানা।

এরপর দুই দফায় কারখানাটি চালু করার চেষ্টা করা হলেও সফলতা আসেনি। বর্তমানে মিল ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল, ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদ দিয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ে যন্ত্রপাতির ওপর, যেগুলো মরিচা পড়ে এখন কার্যত অচল। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি পড়ে আছে অযত্নে, অবহেলায়।

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মিল বন্ধ হওয়ার পর তারা বিকল্প পথে জীবিকা খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন। এক সময় এই মিল ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভালো অবস্থা ছিল, কিন্তু এখন চারপাশে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

সম্প্রতি অর্থ, শিল্প ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল কারখানাটি পরিদর্শন করেছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি) জানিয়েছে, যন্ত্রপাতির কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন এটি ব্রেকইভেনে পৌঁছাতে পারছে না।

তবে ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনার কথাও ভাবা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে কীভাবে এই এলাকায় নতুনভাবে কোনো শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যায়, সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP) মডেলে কারখানাটি পুনরায় চালুর বিষয়টিও পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর