শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দেওয়ার সওয়াব

মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৩, ২০:০৬




মানব সেবা মহান আল্লাহকে খুশি করার অন্যতম মাধ্যম। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি ইবাদতের মাধ্যমে যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায়, পাপমুক্ত হওয়া যায়। তেমনি মানব সেবার মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। এ জন্যই মহান আল্লাহ বান্দাদের উদ্দেশ্য করে পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়; বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতামণ্ডলী, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাসমুক্তির জন্য।


’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭৭)
মানুষের জীবন বাঁচাতে কোনো রকম বিনিময় ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় রক্তদানও একটি মহান ইবাদত। কেউ যদি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় এই ইবাদত করতে পারে, তাহলে সে মহান আল্লাহর কাছে এর উত্তম প্রতিদান পাবে ইনশাআল্লাহ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর যে মানুষের প্রাণ বাঁচালো, সে যেন তামাম মানুষকে বাঁচালো। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৩২)

সম্প্রতি দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় রক্ত ও প্লাটিলেটের চাহিদা বেড়েছে।


মুমিনের উচিত, অপর মুমিনকে বাঁচাতে রক্তদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, কুকুরকে পানি পান করিয়ে এক ব্যভিচারী নারী ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়েছে। (বুখারি, হাদিস : ৩৩২১)

আর মানুষ তো আশরাফুল মাখলুকাত, তার জীবন বাঁচানো কতটা ফজিলতের হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় তাদের পাশে দাঁড়ালে দুনিয়া ও আখিরাতে মহান আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়।


মানুষের দোয়া পাওয়া যায়। আল্লাহর কাছে এর উত্তম বিনিময় পাওয়া যায়।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদের উত্তম প্রতিদান দেব। (সুরা নাহাল, আয়াত : ৯৭)

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে লোক কোনো ঈমানদারের দুনিয়া থেকে কোনো মুসিবত দূর করে দেবে, আল্লাহ তাআলা বিচার দিবসে তার থেকে মুসিবত সরিয়ে দেবেন। যে লোক কোনো দুস্থ লোকের অভাব দূর করবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুরবস্থা দূর করবেন।

যে লোক কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সহযোগিতায় আত্মনিয়োগ করে আল্লাহ ততক্ষণ তার সহযোগিতা করতে থাকেন। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৪৬)
তবে রক্তদানের ক্ষেত্রে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যে এ সময় রক্ত দিলে রক্তদাতার কোনো সমস্যা হবে কি না, যদি রক্তদাতা রক্ত দেওয়ার জন্য ফিট থাকে এবং রক্তদানের বিনিময় গ্রহণ না করে তাহলে জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে রক্ত দিতে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে এর বিপরীত হলে রক্তদান করা জায়েজ হবে না। অর্থাৎ রক্তদাতার বড় ধরনের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে অথবা রক্তদানের বিনিময় গ্রহণ করলে। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/৪৩৬)

অতএব মুমিনের উচিত, একান্ত আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে সহযোগিতা করা। বিশেষ করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের কারণে বহু মানুষ রক্তের জন্য ছোটাছুটি করছে! মুমিনের উচিত, তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর