শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৫ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • চাটমোহরে শিশু জুঁই হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বর্ষবরণে রমনায় মানুষের ঢল
  • রমনার বটমূলে সুরের মূর্ছনায় নতুন বছরকে বরণ
  • মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আছে
  • সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দীতে মানুষের ঢল
  • ব্যবসার জন্য সেরা জায়গা বাংলাদেশ
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় ৭২ জন গ্রেফতার

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬

দীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে ৬৫৩ যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামক জাহাজটি।

সেন্ট মার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকেদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ প্রথমদিনে ৬৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আজ প্রথমদিনে কক্সবাজার থেকে একটি জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আমরা সবকিছু পরিদর্শন করেছি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠায় নাব্যতার সংকট এবং মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে।

ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে।

পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার পর কোনো হোটেলে থাকবেন তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে। জাহাজ ছাড়ার স্থানে (পয়েন্টে) ও সেন্টমার্টিনের প্রবেশের স্থানে (এন্ট্রি পয়েন্ট) পর্যটকদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় সার্বিক বিষয় ও যোগাযোগ সমন্বয় করবে। কাজের সুবিধার্থে কমিটি প্রয়োজনে সদস্য বাড়াতে পারবে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর