প্রকাশিত:
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮
লেবাননে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। ইসরায়েলি বাহিনী ও লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধার দল হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করায় এ আহ্বান জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি শক্তিশালী জোট বা ব্লকের সদস্যরা ‘কূটনৈতিক’ মীমাংসার পৌঁছানোর অংশ হিসেবে কূটনীতির উপায়ে আলোচনা এবং সমাধানের পথ তৈরির জন্য এমন পদক্ষেপ নিতে চাইছে। একটি যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এমন শত্রুতা এবং সংঘাত ‘অসহনীয়’ এবং বড় পরিসরে আঞ্চলিক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার একটি অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি উপস্থাপন করছে, যা আদতে ইসরায়েল বা লেবাননের জনগণের স্বার্থে নয়।
ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সৈন্যদের বলেছেন যে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা পরবর্তীতে তাদের শত্রু অধ্যুষিত অঞ্চলে ঢুকার পথ তৈরি করে দেবে। তার এমন ঘোষণার পরই মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে লেবাননে অব্যাহত বিমান হামলার পাশাপাশি এবার স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। স্থল অভিযান চালাতে উত্তর ইসরায়েলে সামরিক বাহিনী একটি মহড়া শুরু করে। চলমান মহড়া পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে লেবানন সীমান্ত স্থানান্তর করা ‘সাঁজোয়া বহরের যোদ্ধা ও প্যারাট্রুপারদের’ সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
গ্যালান্ট আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর লক্ষ্য অর্জনে আমরা যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক।’
এদিকে বুধবারও (২৫ সেপ্টেম্বর) লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েল। হামলা থেকে বাদ যায়নি রাজধানী বৈরুতও। গতকাল ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় ৫৬৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার।
মন্তব্য করুন: