প্রকাশিত:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৬
বিএনপি কে বির্তকিত করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি। গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের দমন নীপিড়তে জর্জরিত ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে পতিত আওয়ামীলীগ নেতা নেতাদের বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত করার মিশনে নেমেছে এই গ্রুপ। ভিতরে ভিতরে চলছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়। এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছে সংস্কারপন্থী সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এর ক্যাশিয়ার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি। এই সব অপকর্ম সহজতর করতে ব্যবহার করছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিভিন্ন উৎসবে দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তার স্ক্রীন শর্ট। এই শুভেচ্ছা বার্তার মাধ্যেমে এলাকায় প্রচার করছে তার সাথে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর ঘনিষ্ঠতা। যাদের রক্তের বিনিময়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে তাদের খুনিদের বিএনপিতে পূর্নবাসন করে বিএনপি কে বির্তকিত করেছে এই গ্রুপটি।
বাবলুর এই গ্রুপে আওয়ামীলীগ এর টাকাওয়ালা নেতাদের মধ্যে লিয়াজো করার দ্বায়িদ্ব পালন করছে শেরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আশরাফুদ্দৌলা মামুন। আওয়ামী নেতাদের আশ্রয় প্রশয় দেওয়ার এই মিশনে বাবলুর গ্রুপে আরো রয়েছে উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক জাকারিয়া মাসুদ। শেরপুর সরকারী কলেজ সংসদ এর ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত সাবেক এজিএস পরবর্তীতে বিএনপি তে অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক জাকারিয়া মাসুদ। এই মাসুদ এর বিরুদ্ধে সংস্কারপন্থী সাংসদ সিরাজ এর ছেলে আসিফ সিরাজ রব্বানী এর দখলদার বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ারও অভিযোগ আছে।
এছাড়া পতিত সরকারের সাবেক সাংসদ মজিবুর রহমান মজনুর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়া ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও এই মাসুদ ও বাবলু গ্রুপ নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেওয়া ও ভোটাধিকার প্রয়োগ পরবর্তী ফটো সেশনে অংশ নেয়। এতদিন মানুষ মুখ খুলতে না পারলেও এখন প্রশ্ন উঠেছে যদি বিএনপি নির্বাচনের অংশ না নেয় তাহলে বিএনপির এই পদধারী নেতারা তাদের দলবল নিয়ে কেনো ভোট দিয়েছে। এলাকায় কার স্বার্থ রক্ষা করতে তারা ভোটের প্রচারনা ও ভোটেদানে অংশ নিয়ে নির্বাচনের বৈধতা পেতে স্বশরীরে অংশ নিয়েছিল।
এদিকে শেরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আশরাফুদ্দৌলা মামুন পারিবারিক ভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার পরও শহিদুল ইসলাম বাবলু কে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হিসেবে পদ পায়। মামুন এর পিতা মতিউর রহমান মতি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন এবং তার চাচা গোলাম শেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার পতনের পর তার চাচা গোলাম হোসেন কে তার রাজনৈতিক গুরু বাবলু কে ম্যানেজ করে উপজেলার জামাইল হাটের ইজারা ও বালু মহাল পাইয়ে দিয়েছে। এমনকি সরকার পতনের পর আওয়ামীপন্থী খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন মহসিন, ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সুঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান জিন্নাহ, সীমাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গৌড়দাস রায় চৌধুরী কে অর্ধ কোটি টাকার বিনিময়ে চেয়ারম্যান পদে দ্বায়িত্ব পালনের পথ সুগম করেছে। বাবলু ও তার সাঙ্গপাঙ্গ অর্ধকোটি টাকায় এই অপকর্মের কারনে দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দীর্ঘদিন নির্যাাতিত নেতারা বিএনপিতে আওয়ামী নেতাদের পূর্নবাসন করায় বিরুপ প্রভাব পরছে সর্বত্র। শুধু তাই নয় যুবনেতা মামুন এসব আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে এখন বিএনপির মিছিলে সামনের সারিতে অংশ নিচ্ছে। দলীয় নেতা কর্মীর অভিযোগ, শহীদুল ইসলাম বাবলু বিভিন্ন স্কুল কলেজের সভাপতি করে দেওয়ার জন্য ২০-২৫ লক্ষ টাকা নিচ্ছে। এর আগে বাবলু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলের পদ বিক্রি করেছে। এমনকি একজন কে পদ দিতে না পারায় গত দুইমাস আগে দেড় লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। এসব অপকর্মের ফলে বিএনপির ইমেজ মারাতœক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এলাকার সাধারন মানুষের কাছে। এব্যাপারে বাবলু, মামুন ও মাসুদ এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
মন্তব্য করুন: