প্রকাশিত:
২৫ আগষ্ট ২০২৪, ১১:৪৮
পানি কমতে শুরু করায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার অনেক উপজেলায় পরিস্থিতি খুবই নাজুক। ফেনীর গ্রামাঞ্চলে অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দী। মুঠোফোন নেটওয়ার্ক ব্যাহত হওয়ায় প্রকৃত পরিস্থিতির ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। বন্যায় সরকারি হিসেবে সারাদেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৮।
আজও দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বন্যায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত ফেনীর কোথাও কোথাও পানি সামান্য কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। এখনও পানিবন্দী ৮০ শতাংশ মানুষ। পানিতে তলিয়ে থাকায় মানুষজন ঘরে ফিরতে পারছে না। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। হেলিকপ্টারে করে দেয়া ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে দেখা যায় দুর্গতদের।
নোয়াখালীতে ধীরে ধীরে বন্যার পানি কমলেও ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও ৭৬ হাজার মানুষ অবস্থান করছে। এদিকে মুছাপুর ক্লোজারের ২৩টি গেট খুলে দেয়ায় মেঘনা নদী হয়ে সেকেন্ডে ৭৫৬ ঘনমিটারের বেশি পানি নামছে বঙ্গোপসাগরে।
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও জুড়ি ও মনু নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপরে। পানিবন্দী সদরের একাংশ, রাজনগর ও কুলাউড়ার মানুষ।
এদিকে, খুলনার দেলুটির ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াপদার ভেড়িবাঁধ চারদিনেও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ১৩টি গ্রাম। পানিবন্দী ১৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে ফসলি মাঠ, ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশের ১১ জেলার ৭৭টি উপজেলা বন্যা-কবলিত।
মন্তব্য করুন: