প্রকাশিত:
২৪ আগষ্ট ২০২৪, ১৫:৪৫
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল,পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যা দূর্গত এলাকায় প্রধান নদীসমূহের পানি সমতলে ধীর গতিতে হ্রাস পাচ্ছে। তবে এখনো ৯টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং মুহুরি নদীর পরশুরাম পয়েন্টের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
আজ (২৪ আগস্ট) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাসমূহে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত দেখা যায়নি এবং উজানের নদ-নদীর পানি সমতলে হ্রাস অব্যাহত আছে। ফলে বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির গতকাল হতে উন্নতি শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীতে অমরশীদ স্টেশনে ১৪ সে.মি., শেওলা স্টেশনে ১ সে.মি. সিলেটের শেরপুর স্টেশনে ৯ সে.মি. মারকুলী স্টেশনে ৪ সে.মি. মৌলভীবাজারের মনুতে ৯১ সে.মি. বিপদ সীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও খোয়াই নদীর বাল্লা স্টেশনে ৪৪ সে.মি. গোমতি নদীর কুমিল্লা স্টেশনে ৯৬ সে.মি. ফেনীর রামগড় স্টেশনে ৫৩ সে.মি. বিপদ সীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে খোয়াই নদীর হবিগঞ্জ, মনু নদীর মনু রেলওয়ে ব্রিজ, গোমতীর দেবীদ্বার, হালদার নারায়ণহাট ও পাঁচপুকুরিয়া স্টেশনে পানি সমতল বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে।
দেশের উজানে গত ২৪ ঘন্টায পানি সমতলে মুহুরী নদীতে বিলোনিয়া-ত্রিপুরায় বিপদসীমার ১০৩ সেমি এবং সাবরুম নদীতে ফেনী পয়েন্টে ১৮৩ সে.মি. হ্রাস পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই পয়েন্টে প্রতি ৩ ঘন্টায় ৯ সে.মি. হারে পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। গোমতী নদীর অমরপুর পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৫১ সে.মি. হ্রাস পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার ২০ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নোয়াখালীতে ৮৪ মি.মি. এবং টেকনাফে ৫৮ মি.মি.।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদী সমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন: