রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • খুলনা নগরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, নেতা-কর্মীদের খুঁজছে পুলিশ
  • ভাত খাওয়ার সময় যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা
  • বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে
  • আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জন ট্রাইব্যুনালে
  • বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের প্রথম ধাপ
  • দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • চাটমোহরে শিশু জুঁই হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বর্ষবরণে রমনায় মানুষের ঢল

এএফপির বিশ্লেষণ

শেখ হাসিনাকে নিয়ে কূটনৈতিক সংকটে ভারত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১১ আগষ্ট ২০২৪, ১১:৫১

ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পতনে প্রতিবেশী ভারতে কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে মোকাবিলা করতে এবং ইসলামঘেঁষা বিকল্পকে রোধ করতে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছিল নয়াদিল্লি।

শনিবার (১০ আগস্ট) বার্তা সংস্থা এএফপির বিশ্লেষণে এসব কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, নয়াদিল্লি ঢাকার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনও ঢাকার নতুন কর্তৃপক্ষকে স্বাগত জানাতে তৎপর ছিল এবং বলেছে, বেইজিং সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়।

তবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক থমাস কিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত কয়েক বছর ধরে ভুল পথে রয়েছে। ভারত সরকার ঢাকায় একেবারেই কোনো পরিবর্তন দেখতে চায়নি এবং বছরের পর বছর ধরে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছিল, তারা হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প দেখছে না।’

শেখ হাসিনা বেইজিংয়ের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেই নয়াদিল্লির সমর্থন পেয়েছেন এবং উভয় দেশের সঙ্গে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষা করেছেন। বাংলাদেশের বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে সাধারণ হুমকি হিসেবে দেখেছিল নয়াদিল্লি। এই সুযোগে শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মমভাবে দমন করেছেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ‘নয়াদিল্লি মনে করে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি ভারতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নয়াদিল্লির দৃষ্টিতে বিএনপি এবং তার মিত্ররা বিপজ্জনক ইসলামী শক্তি, যা ভারতীয় স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’

শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এটা নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশ নিয়ে নয়াদিল্লি এখন ‘প্রবল কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের’ মুখোমুখি হচ্ছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্র সতর্ক করে দিয়েছে, ‘নয়াদিল্লিকে অবশ্যই ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে এবং সম্পর্কের উচ্চ অংশীদারি নিশ্চিত করতে হবে। এতে কিছু স্বল্পমেয়াদি বিপত্তি দেখা দিতে পারে।’

তবে বাংলাদেশের নতুন নেতা ড. ইউনূস বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন। শপথ নেওয়ার আগে ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনে তিনি লিখেছেন, ‘যদিও কিছু দেশ, যেমন– ভারত, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করেছে এবং এর ফলে বাংলাদেশি জনগণের শত্রুতা অর্জন করেছে। তবে এই ধরনের তিক্ততা সারানোর অনেক সুযোগ থাকবে।’

এদিকে বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষ লিখেছেন, ৫ আগস্ট বিকালে ঢাকায় ভারতের সাবেক এক হাইকমিশনারের কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, শেখ হাসিনার ঢাকা ছাড়ার বিষয়ে তিনি জানেন কি না? ওই কূটনীতিক জবাব দেন, ‘তিনি যেখানে খুশি যান, ভারতে না এলেই হলো।’

দিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্ক আইডিএসএর সিনিয়র ফেলো স্মৃতি পট্টনায়কও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শেখ হাসিনা যদি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চান, তাহলেও উচিত হবে না সেটা মঞ্জুর করা।’ তাঁর যুক্তি, বাংলাদেশে সম্প্রতি সরকারের বিরুদ্ধে যে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, তাতে ভারত বিরোধিতাও যুক্ত ছিল। ফলে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিলে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর