প্রকাশিত:
৮ আগষ্ট ২০২৪, ১৭:৫৮
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী আন্তঃসীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। কুরস্কের আঞ্চলিক গভর্নর অ্যালেক্সেই স্মিরনভ বলেছেন, ওই অঞ্চলে শত্রু বাহিনীর আক্রমণ যেন আরও বিস্তৃত হতে না পারে সেজন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।
রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অনুপ্রবেশের পর থেকে কমপক্ষে পাঁচ বেসামরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৩১ জন। এর মধ্যে ছয়জনই শিশু। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
মস্কো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে প্রায় এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনা সুদঝা শহরের কাছে অনুপ্রবেশ করে। সে সময় ১১টি ট্যাঙ্ক এবং ২০টির বেশি সশস্ত্র যানও অনুপ্রবেশ করেছে।
মঙ্গলবার প্রায় সারাদিনই বেশ কিছু গ্রামে সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। সে কারণে বাসিন্দাদেরকে চলাচল এবং যে কোনো গণ-অনুষ্ঠান বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
কুরস্ক অঞ্চলে কয়েক দফা এয়ার অ্যালার্ট জারি করা হয়। এছাড়া অনলাইনে পোস্ট হওয়া বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে ওই অঞ্চলের আকাশে কিছুটা নিচ দিয়ে বেশ কিছু যুদ্ধবিমান উড়ে গেছে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। সে সময়ের পর রাশিয়ার কোনো স্থানে ইউক্রেনীয় সেনাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা খুবই বিরল বলা যায়।
বুধবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইউক্রেনের এমপি ওলেকসি হোনচারেনকো বলেন, সুধা গ্যাস হাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। রাশিয়া দিয়ে ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় গ্যাস হাব এটি। যুদ্ধ চলমান থাকার পরেও এই প্রক্রিয়া চলমান ছিল। এই একটি পয়েন্ট দিয়েই রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
তবে ওলেকসির এমন দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এদিকে বুধবার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক বৈঠকে বসেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক ভবনে অবিবেচকের মতো হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
মন্তব্য করুন: