প্রকাশিত:
৪ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:৩২
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রবিবার (৪ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আন্দোলনকারীরা হামলা করেন।
হামলার মুখে টিকতে না পেরে ওই অফিসের সামনে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের কর্মীরা পালিয়ে যান। তখন বিক্ষুব্ধরা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং সামনে থাকা প্রায় ১২টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ সময় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
আন্দোলনকারী বিক্ষুব্ধরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্রসংসদের ভবন দখল করে বানানো জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।
এরপর বিক্ষোভকারীরা ফরিদ শাহ সড়কের কোর্টপাড়া এলাকার দিকে যেতে চাইলে রাজেন্দ্র কলেজ ও জেলখানার মোড়ে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা থানা রোডের শহর আওয়ামী লীগে কার্যালয়ে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এরপর লাভলু সড়কে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে সাড়ে ১২টার দিকে জনতা ব্যাংকের মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের বক্স ভাঙচুর করে কোতোয়ালি থানায় হামলা করতে ইটপাটকেল ছুড়তে এগিয়ে গেলে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোতোয়ালি থানার চারপাশ পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টার দিকে অসহযোগ আন্দোনলে হাজার হাজার সমর্থক শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সমবেত হন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অনেক নারী-পুরুষরা অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে ভাঙা রাস্তার মোড়, হাজরাতলার মোড়, আলীপুর নতুন সেতু, গোরস্তানের মোড়, আলীপুর মোড় হয়ে প্রথমে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে বাঁশের লাঠি, কাঠ, লোহার রডসহ ইটপাটকেল দেখা গেছে। পৃথক পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ১টা) বিক্ষোভকারীরা জনতা ব্যাংক মোড়ে মুজিব সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। অপরদিকে পুলিশ সদস্যরা কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন।
মন্তব্য করুন: