প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২৪, ১৩:৪০
নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি নূরুল আলমসহ আরও ৩৭ কয়েদি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা ৩টায় নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
এ নিয়ে জেল পলাতক মোট ৮২৬ কয়েদির মধ্যে ৫৭৫ জন আত্মসমর্পণ করলো বলে নরসিংদীর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান।
পুলিশ বলছে, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে নুরুল আলম আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।
পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে পালানো জঙ্গি নূরুল আলম নরসিংদী আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য আসে। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করলে তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত থেকে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।”
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জঙ্গি নুরুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে ছিল। এ নিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া নয় জঙ্গির মধ্যে পাঁচজন আইনের আওতায় এল বলে জানান আদালত পুলিশের এ কর্মকর্তা।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ করে ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে দিলে নয় ‘জঙ্গি’সহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। এ সময় অস্ত্র-গেলাবারুদ ও খাদ্যপণ্য লুট এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
ওই সময় কারা কর্তৃপক্ষ ও রক্ষীরা হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও অবস্থা বেগতিক দেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে তারা কয়েদিদের সঙ্গে মিশে যান। এ সময় যেসব কয়েদি জেল ছেড়ে পালাতে চাননি তাদের মারধরও করা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাকারীরা কারাগার থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজারের বেশি গুলি ছিনিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে সাত হাজার রাইফেলের এবং শটগানের গুলি রয়েছে এক হাজার ৫০টি।
সোমবার (২৯ জুলাই) নরসিংদীর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, “লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৯টি উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।”
মন্তব্য করুন: