শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

রাশিয়া-চীনের চার জঙ্গিবিমানকে যুক্তরাষ্ট্রের ধাওয়া

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫০

রাশিয়া ও চীনের চার জঙ্গিবিমানকে তাড়া করে আলাস্কার আন্তর্জাতিক আকাশপথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল কানাডাও।

যৌথ টহলের অংশ হিসেবে চারটি যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা উপকূলে পাঠায় মস্কো ও বেইজিং। গত বুধবার বিমানগুলোর গতিপথ রুখে দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সামরিক বাহিনী।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সংবাদ সম্মেলনে এসে এসব তথ্য দেন।

তবে রাশিয়া ও চীনের এই যৌথ টহলকে ‘আকস্মিক’ ঘটনা হিসেবে দেখছেন না অস্টিন, তার ধারণা- বেশ সময় নিয়ে এই অভিযানে নেমেছিল তারা।

আলজাজিরা লিখেছে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমানের এমন যৌথ টহলের ঘটনা এটিই প্রথম। দেশ দুটির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির নজিরও এটি। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ‘টুপোলেভ টিইউ-৯৫’ শ্রেণির দুটি রুশ যুদ্ধবিমান এবং চীনের এইচ-৬ শ্রেণির দুটি যুদ্ধবিমান যৌথ টহলে অংশ নেয়।

নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড বলেছে, উপকূলে টহল দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সার্বভৌম ভূখণ্ডে প্রবশে করতে পারেনি রুশ-চীনা যুদ্ধবিমান।

লয়েড অস্টিন বলেছেন, পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাশিয়া-চীনের এই যৌথ টহল চলে। বিষয়টি শনাক্ত করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তাদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বিদেশি মিত্রের যুদ্ধবিমান সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় টহলের ঘটনা মূলত সামরিক শক্তি সম্প্রসারণের জানান দেওয়ারই শামিল।

অস্টিন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের এমন যৌথ টহলের ঘটনা এটিই প্রথম।

রাশিয়া বলছে, চুকচি সাগর, বেরিং সাগর ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে যৌথ টহলের অংশ হিসেবে চীনের দুটি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তাদের দুটি পাঠানো হয়েছিল।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ধাওয়া খাওয়ার বিষয়ে মস্কো কোনো মন্তব্য করেনি।

আলজাজিরা বলছে, টহলে অংশ নেওয়া টিইউ-৯৫ যুদ্ধবিমান স্নায়ুযুদ্ধকালে সোভিয়েত আমলে তৈরি, যা আজও অভিযান পরিচালনায় ব্যবহার করে থাকে রাশিয়া। আকাশেই নতুন জ্বালানি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উড়তে পারে এই শ্রেণির বিমান।

চীনের এইচ-৬ যুদ্ধবিমানও সোভিয়েত আমলের টুপোলেভ-১৬ শ্রেণির, পরে যাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।

আলজাজিরা লিখেছে, রাশিয়া ও চীনের মধ্যে কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি নেই। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা সামরিক মিত্রতা বাড়িয়ে চলেছে। যৌথভাবে তারা সামরিক শক্তি সম্প্রসারণে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।

২০১৯ সালে প্রথমবার রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের টহল অভিযান পরিচালনা করে। তবে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমার আশপাশে ছিল না।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর