প্রকাশিত:
১৮ জুলাই ২০২৪, ১৮:০১
ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রলাভের অধিকার প্রত্যাখ্যান করে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোটের সঙ্গে যৌথভাবে ডানপন্থী দলগুলো পার্লামেন্টে এ–সংক্রান্ত বিল আনে। পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ ৬৮ ভোটে পাস হয় এটি। বিলের বিপক্ষে পড়ে মাত্র ৯টি ভোট।
পশ্চিমা অনেক নেতা বেনি গানৎসকে নেতানিয়াহুর চেয়ে বেশি মধ্যপন্থী হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। তিনি তাঁর দলের আইনপ্রণেতাদের পাশাপাশি বিলের পক্ষে ভোট দেন।
প্রস্তাবে এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে একেবারে নাকচ করে দেওয়া হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েলের নেসেট। ইসরায়েলের প্রাণকেন্দ্রে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের জন্য বাস্তব হুমকি, ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত স্থায়ী এবং এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে হামাসের কর্তৃত্ব গ্রহণ, একে উগ্র সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি বানানো ও ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে ইরানের নেতৃত্বাধীন অক্ষের সঙ্গে তাদের সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করা হবে সময়ের ব্যাপার। এ মুহূর্তে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা উৎসাহিত করা হবে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার নামান্তর এবং এটি বিজয় হিসেবে দেখতে হামাস ও এর সমর্থকদের শুধু উৎসাহিতই করবে। তা ছাড়া, গত বছরের ৭ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞকে বৈধতাদান ও মধ্যপ্রাচ্যকে ‘‘ইসলামি উগ্রপন্থী’দের কবজায় যাওয়ার পূর্বলক্ষণ তৈরি করবে এটি।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহুর আনা একটি বিল পাস করেছে নেসেট। তবে তা ছিল ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সমঝোতা ছাড়াই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে কয়েকটি দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ।
চলতি জুলাইয়ের শেষ দিকে মার্কিন কংগ্রেসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। এটি সামনে রেখে আজ ওই বিল পাস করল নেসেট। যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর।
মন্তব্য করুন: