শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

গ্যাস কমায় জ্বলছে না চুলা, বেড়েছে লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২৪, ১১:২৭

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের চাপ না থাকায় গাড়ির লাইন থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গ্যাস-সংকটে পড়েছে শিল্প, আবাসিক ও বিদ্যুৎ খাত। বেড়ে গেছে লোডশেডিং।

একটি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় প্রায় দেড় মাস ধরে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ কম। এর মধ্যে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে এক দুর্ঘটনায় পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে গেছে। এতে এলএনজি সরবরাহ আরও কমে গেছে।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন আবাসিকের গ্রাহকরা। দিনের খুব কম সময়ই লাইনে রান্নার জন্য গ্যাস পাওয়া যায়। এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে সারাদিনও রান্নার মতো পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া যায় না।

গত দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় গ্যাস সংকটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেসব এলাকায় আগে পাওয়া যেত সেসব এলাকায়ও গত দুই সপ্তাহ ধরে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় দিনের বেলায় গ্যাস মিললেও নিভু নিভু করে জ্বলে চুলা। আবার বিনা ঘোষণায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও নিয়মিত হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে নতুবা এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে মাসের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকার বাইরে কয়েক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।

দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে এলএনজি থেকে আসে ১১০ কোটি ঘনফুট। এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৫ কোটি ঘনফুট। এতে দিনে এখন গ্যাস সরবরাহ নেমে এসেছে ২২৫ কোটি ঘনফুটে।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কবলে পড়ে গত ২৭ মে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বন্ধ হয়ে যায় সামিটের টার্মিনাল। এতে ৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ কমে যায়। এটি থেকে এ মাসের মাঝামাঝি পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হতে পারে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঠিকাদারি সংস্থার পক্ষ থেকে মাটি পরীক্ষার জন্য খোঁড়াখুঁড়ির সময় আনোয়ারা-ফৌজদারহাট লাইনে ছিদ্র হয়। এতে এ পাইপলাইনে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাস সঞ্চালনের সংস্থা গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) প্রকৌশলীরা এটি মেরামতে কাজ করছেন।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন ও মাইনস) মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে। এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে পাইপলাইন মেরামত করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর