শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বড় বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫৪

গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্ত করতে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ জোরালো করতে গতকাল রোববার (৭ জুলাই) ইসরায়েলে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তেল আবিব ও জেরুজালেমে মিছিল করেছেন। তাঁরা স্লোগান দিয়েছেন, ‘আমরা হাল ছেড়ে দেব না।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে সেদিনই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গতকাল গাজায় চলমান ইসরায়েলি যুদ্ধের ৯ মাস পূর্ণ হয়েছে। দিনটিতে ইসরায়েলজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ করেছেন ইসরায়েলিরা। গতকাল বিক্ষোভকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আর তা সম্ভব না হলে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।

গতকাল ইসরায়েলের দুটি বড় শহরে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করেন। তেল আবিবে সড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে।

গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ইসরায়েলি নাগরিকদের অনেক স্বজনও বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁদের আশঙ্কা, গাজায় এখনো যাঁরা জিম্মি আছেন, তাঁদের ফেরানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েল বলছে, গাজায় এখনো আটক আছেন ১১৬ জন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ৪২ জিম্মি মারা গেছেন।

তেল আবিবে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ৫৭ বছর বয়সী অরলি নাতিভ। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভাবনাকে সরকার পরোয়া করে না। আমাদের বোন ও ভাইদের গাজা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা কিছুই করছে না।’

বিক্ষোভকারীদের অনেকের অভিযোগ, রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য খুব একটা একটা উদ্যোগী হচ্ছেন না। তাঁর মন্ত্রিসভার দুজন কট্টর ডানপন্থী সদস্য চুক্তি হলে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন।

জেরুজালেমে নুরিত মেইরি নামের ৫০ বছর বয়সী এক সমাজকর্মী বলেন, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) যুদ্ধের সমাপ্তি টানবেন, নাকি তাঁর সরকারের পতন ঘটবে, সেটা তিনিই জানেন।’

জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর বাড়ি অভিমুখে একটি মিছিলে শামিল হয়েছিলেন নুরিত মেইরি। তাঁর হাতে একটি ইসরায়েলি পতাকা ছিল। তাঁর পরনে ছিল ‘তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনুন’ লেখা টি–শার্ট। তবে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে চিৎকার করতে করতে কয়েকজন তরুণ মিছিলটিকে বাধা দেন।

কয়েক মাস ধরে প্রতি শনিবার রাতে ইসরায়েলের তেল আবিবে বিক্ষোভের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে সম্প্রতি বিক্ষোভের তীব্রতা বেড়েছে এবং আগের চেয়ে ঘন ঘন বিক্ষোভ হচ্ছে।

গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তেল আবিবে অনেক বিক্ষোভকারী জড়ো হন। আয়োজকেরা বলেন, সেদিন প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন।

ইসরায়েলের তথ্যের ভিত্তিতে এএফপি জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনায় ১ হাজার ১৯৫ জন নিহত হয়েছে। জিম্মি করা হয়েছে ২৫১ জনকে। ইসরায়েলি বাহিনী তাঁদের মধ্য থেকে সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময় আরও ১০৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৮০ জন ইসরায়েলি নাগরিক।

এদিকে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ১৫৩ জন নিহত হয়েছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর