প্রকাশিত:
৭ জুলাই ২০২৪, ১৩:১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তার বাস্তবায়ন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল এখন মানুষ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পুরো ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে যাচ্ছি। যেভাবে আমরা ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, নিরাপদ করতে চাই, আমরা অবশ্যই পারবো। বিশ্বের উন্নত শহরগুলোকে যেভাবে নিরাপদ শহরে পরিণত করা হয়েছে, আমরাও প্রথমে ঢাকা তারপর পর্যায়ক্রমে দেশের প্রধান শহরগুলোকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলবো।
শনিবার (৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে ‘ল অ্যান্ড অর্ডার কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিল (এলওসিসি)’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সিসি ক্যামেরা কার্যক্রম ও স্মার্ট পার্কিং সিস্টেমের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিন রাজধানীর গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন সোসাইটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকতে পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা নজরদারি প্রকল্পের চতুর্থ পর্বের কার্যক্রম এবং স্ট্রিট স্মার্ট পার্কিং সিস্টেমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রকল্পের আওতায় গুলশান এলাকায় নতুন করে আরও ২ হাজার সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এছাড়াও পুরনো সিসি ক্যামেরাগুলো পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে। একই সঙ্গে গুলশান এলাকায় যত্রতত্র কার পার্কিং যাতে না হয়, সেজন্য স্ট্রিট স্মার্ট পার্কিং জোন করা হচ্ছে।
গুলশান থানায় স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন ডিএমপির কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন সোসাইটিতে নিরাপত্তার জন্য আপনারা সিসি ক্যামেরা এবং স্ট্রিট স্মার্ট পার্কিংয়ের জন্য যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন- এটা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। আমরা ঢাকা সিটিকে নিরাপদ করতে অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, তোমরা ঢাকা সিটিকে চার ভাগে ভাগ করে একটা জায়গা থেকে কার্যক্রম শুরু করো। তারই অংশ হিসেবে গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতনে আপনাদের সহযোগিতায় এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে এবং এর সুফল এখানে যারা বসবাস করেন তারা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করা, তারই সুফল এখন মানুষ পাচ্ছে। ঢাকা শহরে যে কোনো অপরাধের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোনো অপরাধীকে সহজেই ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে এলওসিসির সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আপনাদের এলাকা নিরাপদ করতে যে বিনিয়োগ করেছেন তার সুফল আপনারা ভোগ করছেন। এ সময় গুলশানের মতো পুরো ঢাকাকে নিরাপদ করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ডিএমপি ও গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন সোসাইটির উদ্যোগে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ল অ্যান্ড অর্ডার কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের এ প্রকল্প ২০১৩ সালে শুরু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটি চলছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেগবান হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য মো. ওয়াকিল উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: