সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • খুলনা নগরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, নেতা-কর্মীদের খুঁজছে পুলিশ
  • ভাত খাওয়ার সময় যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা
  • বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে
  • আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জন ট্রাইব্যুনালে
  • বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের প্রথম ধাপ
  • দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • চাটমোহরে শিশু জুঁই হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বর্ষবরণে রমনায় মানুষের ঢল

বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫২

নীলফামারীতে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। এতে করে তিস্তাপাড়ের নিমাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারাজের সব গেট খুলে রেখেছে কতৃপক্ষ।

আজ শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১২টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যরাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

এরআগে গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৩টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

সেখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।

নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চলে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। এমনই একটি গ্রাম ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর। ভারত থেকে তিস্তার প্রায় প্রবেশমুখে গ্রামটির অবস্থান।

শনিবার দুপুরে ওই গ্রামের বাসিন্দা আহেনুল ইসলাম (৩৫) জানান, রাতে হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে করে গ্রামের অনেকের বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এলাকার মানুষ আরো পানি বাড়ার শঙ্কায় আছেন।

ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সকালে আমার ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর ও পূর্বছাতনাই মৌজায় পানি প্রবেশ করে। এতে করে প্রায় এক হাজার তিন শ পরিবার পানিবন্দী হয়।

দুপুরের পর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ফের পানি বাড়ার শঙ্কায় রয়েছে এলাকার মানুষ।’

একই উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানির তোরে ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে। সেটি স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশের পাইলিং ও বালির বস্তা ফেলে মেরামতের কাজ চলছে। তবে এখনো কোনো বাড়িঘরে পানি উঠেনি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদ্দৌলা বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) গেট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর