প্রকাশিত:
৩০ জুন ২০২৪, ১৫:৪৫
ইসরায়েলের শর্ত মেনে নিতে হামাসকে চাপ প্রয়োগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের সামলোচনা করেছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শনিবার (২৯ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে হামদান জানান, গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে এমন যে কোনো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস ‘ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে’ এখনও প্রস্তুত আছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের চালানো প্রচেষ্টা এ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করতে পারেনি। যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থার জন্য ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরকে দায়ী করেছে।
হামাস বলছে, এ বিষয়ে যে কোনা চুক্তির মাধ্যমে অবশ্যই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে হবে আর তা গাজা থেকে ইসরায়েলির বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করবে। অপরদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাস পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তারা শুধু অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতেই সম্মত হবে।
ইসরায়েলের শর্ত মেনে নিতে হামাসকে চাপ প্রয়োগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের সামলোচনা করেছেন হামদান।
তিনি বলেন, “স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা ভূখণ্ড থেকে (ইসরায়েলি বাহিনীর) ব্যাপক প্রত্যাহার ও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া বন্দি বিনিময় চুক্তি নিশ্চিত করা যে কোনো প্রস্তাবে হামাস আবারও ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত।“
ইসরায়েলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের যোদ্ধাদের হামলায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং অন্তত ২৫০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখা হয়।
ওই দিন থেকেই হামাস শাসিত গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে প্রায় নয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং চারদিক থেকে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় প্রায় ৩৮০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুন) গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত ও আরও বহু আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কমর্কর্তারা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন: