রবিবার, ৬ই অক্টোবর ২০২৪, ২১শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি: সিপিডি
  • অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামালসহ গ্রেপ্তার ৪

রাষ্ট্রের বাইরে কর্তৃত্ব প্রয়োগের বিশেষাধিকার `বিপজ্জনক নজির’

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ জুন ২০২৪, ১৫:৩৩

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে ওয়াশিংটনে যারা তদবির করেছেন তাদের অন্যতম অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী বার্নাবি জয়েস বলেছেন, অ্যাসাঞ্জের মামলায় রাষ্ট্রের বাইরে কর্তৃত্ব প্রয়োগের বিশেষ অধিকারের দিকটি ‘উদ্বেগজনক’ বিষয় বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

বুধবার বিবিসি নিউজডেকে তিনি বলেন, “তিনি (অ্যাসাঞ্জ) যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, কখনোই যুক্তরাষ্ট্রে যান নাই। তারপরও একজনকে তৃতীয় একটি দেশের কারাগারে পাঠাচ্ছি আমরা।

“আমি মনে করি না সে যা করেছে তা ঠিক। আমি এখানে তার চরিত্রের সনদ দিতেও আসিনি। কিন্তু আমি বলতে চাই, তিনি যা করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় তা অবৈধ নয়। অস্ট্রেলিয়ায় তিনি কোনো আইন ভাঙেননি।”

লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারের ছোট্ট কক্ষে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতাকে যেভাবে রাখা হয়েছে তারও সমালোচনা করেন জয়েস।

তিনি বলেন, “একদিন আমরা এই মামলাটির দিকে ফিরে তাকাব আর সবাই বিস্মিত হব: সত্যি বলতে সে কাকে খুন করেছে যে দিনের মধ্যে ২৩ ঘণ্টা তাকে নির্জন কারাকক্ষে থাকতে হবে? কী অভিযোগ ছিল যে এমনটি করা হয়েছে?”

অ্যাসাঞ্জকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হয়েছে বলে খবর।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী সাইপ্যানের যে মার্কিন আদালতে হাজির হওয়ার পর অ্যাসাঞ্জের মুক্তি মিলেছে সেখানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড। রাড এখন যুক্তরাষ্ট্রে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। একসময় তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের চুক্তির ক্ষেত্রে যে আরেকজন প্রধান ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে তিনি যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার স্টিভেন স্মিথ, তিনি ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত রাডের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলেছেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে রাডের শক্তির জায়গাটি হচ্ছে কূটনীতি ও পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়, অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে তিনি তার এসব অভিজ্ঞতা সম্ভবত কাজে লাগিয়েছেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর