প্রকাশিত:
২৫ জুন ২০২৪, ১৬:১৬
বহু জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৩ জুন অভিনেতা জাহির ইকবালকে বিবাহ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের অধীনে মুসলিম অভিনেতা জাহির ইকবালকে বিবাহ করেছেন সোনাক্ষী সিনহা। প্রায় ৭ বছরের প্রেম তাদের, ২০১৭ সালের ২৩ জুন জাহিরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। আর ৭ বছর পর একই দিনে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
আইনিমতে বিবাহের পর সোনাক্ষী সিনহা নিজেই তার বিয়ের ছবিগুলি পোস্ট করে তাদের সম্পর্কের বিষয়টিতে শিলমোহর দেন। বহুদিন ধরেই জাহিরের সঙ্গে সোনাক্ষীর সম্পর্কের বিষয়টি গুঞ্জনে ছিল। কিন্তু কখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে দেননি সোনাক্ষী। আবার সোনাক্ষীর বিয়ের আগে গুজব উঠেছিল যে, মুসলমানকে বিবাহ করার জন্যে শত্রুঘ্ন সিনহাও মেনে নেননি মেয়ের বিয়ে।
কিন্তু অভিনেতা নিজেই এই গুজব উড়িয়ে দেন। অবশ্য সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়েতে উপস্থিত হননি তার দুই ভাই লাভ-কুশ। এদিকে আবার মুসলমান পাত্রকে বিয়ে করার জন্যে সোনাক্ষী ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী। বিহারে সোনাক্ষীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছে একটু হিন্দু গোষ্ঠী। শুধু তাই নয়, গোটা পটনা জুড়ে পোস্টার লাগিয়ে একটি হিন্দু গোষ্ঠী এই বিয়েকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অভিহিত করেছে।
হিন্দুকর্মীরা আরও বলেছে যে, অভিনেত্রীকে তারা আর বিহারে প্রবেশ করতে দেবে না। এমনকী অভিনেত্রীর বাবা, প্রবীণ অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহাকেও একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। হিন্দু শিবভবানী সেনা নামে একটি গোষ্ঠী সিনহা পরিবারকে হুমকি দিয়ে পটনা জুড়ে পোস্টার লাগিয়েছে এবং সোনাক্ষী ও জহিরকে গোটা দেশকে ‘ইসলামীকরণ’ করার চেষ্টা করার অভিযোগে বিদ্ধ করা হয়েছে।
তাদের দাবি, ‘সোনাক্ষী এবং জাহিরের বিয়ে লাভ জিহাদকে উৎসাহিত করে। প্রেমের আড়ালে এই বিয়ে একটি ধর্মীয় ষড়যন্ত্র। এর লক্ষ্য হিন্দু সংস্কৃতির ক্ষতি করা।’ আর পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘হিন্দু শিবভবানী সেনা সোনাক্ষী সিনহাকে বিহারে প্রবেশ করতে দেবে না।’
শুধু তাই নয়, সোনাক্ষীর মুসলিমকে বিয়ে করার অপরাধে আন্দোলনকারীরা শত্রুঘ্ন সিনহাকে তার মুম্বাইয়ের প্রাসাদস্থ বাসভবনের নাম, রামায়ণ ও তার ছেলেদের, লাভ এবং কুশের নামও পরিবর্তন করতে বলেছেন। তাদের দাবি, ‘শত্রুঘ্ন সিনহাকে বিয়ের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। অন্যথায়, তাকে তার ছেলেদের নাম লভ এবং কুশ এবং তার বাড়ির রামায়ণ পরিবর্তন করতে হবে। হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে।’
তবে সোনাক্ষী এবং জাহির এখনও পোস্টার গুলিতে প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে শত্রুঘ্ন জানিয়েছেন যে তার মেয়ে বেআইনি বা অসাংবিধানিক কিছু করেননি। কারো হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। সোনাক্ষী এবং জহিরের বিয়ের একাধিক ছবি এবং ভিডিও এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
মন্তব্য করুন: