প্রকাশিত:
২৫ জুন ২০২৪, ১৬:০৮
সোমবার (২৪ জুন) ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। বৈঠকে তাদের মধ্যে সংঘর্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন যে, লেবাননের সঙ্গে কোন ঝামেলায় না জড়াতে। গাজা থেকে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই বৈঠকে আলোচনা করেন ব্লিঙ্কেন। সেগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে এই নিয়েও আলোচনায় হয়।
আর এর মধ্যেই সম্প্রতি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ইসরাইলে অস্ত্র দিতে যুক্তরাষ্ট্র দেরি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এমন সমালোচনা করতেই বেশ খানিকটা চাপে আছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাই সম্পর্ক ঠিক করতে ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট। অবশ্য তার মতে, এই সফরের মুল উদ্দেশ্য হলো, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে মনোমালিন্য দূর করা।
তাদের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়েছে। গাজায় থাকা সমস্ত বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি যাতে গাজাবাসীর ভোগান্তি না হয় তার জন্য একটি চুক্তিতে আসতে চাইছেন ব্লিকেন। এইকথাই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টকে।
সম্প্রতি ইসরাইল ও ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে সম্প্রতি হামলার ঘটনা বেড়ে চলছে। কখনো হুমকি দিচ্ছে হিজবুল্লাহ। আবার কখনো ইসরাইল হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ হয়, তাহলে এর মর্মান্তিক পরিণতি আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। হিজবুল্লাহর হামলার কড়া জবাব দিচ্ছে ইসরাইল। লেবাননের ভেতরে হিজবুল্লাহর অবস্থান নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে নিয়মিত। বসে নেই হিজবুল্লাহও। ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে তারা।
সম্প্রতি, হিজবুল্লাহ ড্রোন থেকে তোলা ইসরাইলের সংবেদনশিল বেশ কিছু ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে। এসব ভিডিও চিত্রে ইসরাইলের হাইফা শহরে ইসরাইলি বাহিনীর একাধিক সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি বেসামরিক বিভিন্ন অবকাঠামোও দেখা গেছে। পাল্টাপাল্টি হুমকিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ-বাতাস। এই পরিস্থিতিতে লেবানন-ইসরাইল যদি সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি কি হবে এই নিয়ে চিন্তিত বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন: