প্রকাশিত:
২৫ জুন ২০২৪, ১৪:০৭
লোকসভায় নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গত ১০ বছরে বিরোধী বেঞ্চের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির কোনার আসনেই বরাবর রাহুল গান্ধীকে বসতে দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে তাকে দেখা গেলো একেবারে প্রথম সারিতে। সমাজবাদী পার্টির (এসপি) অখিলেশ যাদব, তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে একই সারিতে এবং সেখান থেকেই মোদীর শপথগ্রহণের সময় তাকে সংবিধান দেখালেন রায়বরেলীর সাংসদ।
রাহুলের এই ফ্রন্টফুটে এসে খেলা দেখে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, এবার তিনি লোকসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব নিতে চলেছেন। কারণ বিরোধী বেঞ্চের প্রথম সারিতে মঙ্গলবার (২৫ জুন) যেখানে তিনি তার পরিচিত সাদা টি-শার্ট পরে বসেছিলেন, সেই আসনটিই বিরোধী দলনেতার জন্য নির্দিষ্ট। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার স্বামী রবার্ট বঢরা বলেছেন, ‘‘আমি জানি রাহুল যেটা করে মনপ্রাণ দিয়ে করে। আমার মনে হয় ও বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব বোঝে।’’
রত বৈঠক নিয়ে মোদিকে কড়া ভাষায় চিঠি মমতাররাহুলকে লোকসভার বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব গ্রহণের আর্জি জানিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে ইতোমধ্যেই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তিনি দলের সংগঠনে মন দিতে বেশি আগ্রহী। আজ লোকসভার অধিবেশনের পরে রাহুল চলতি বছরের শেষে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ওই রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চলতি সপ্তাহে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, সাংগঠনিক দায়িত্ব দলীয় সভাপতির কাঁধে ছেড়ে দিন রাহুল। বরং তিনি মন দিন নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতে। যা অনেক বেশি জরুরি। কংগ্রেসের অন্য কেউ বিরোধী দলনেতা হলে অখিলেশের মতো অন্য দলের বিরোধী নেতারা প্রচারের আলো নিয়ে চলে যাবেন।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামীকাল (বুধবার ২৬ জুন) উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভার সাংসদ হিসেবে রাহুলের শপথ নেয়ার পরে বিরোধী দলনেতার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। গত ১০ বছর কংগ্রেসের হাতে লোকসভার মোট দশ শতাংশ আসনও ছিলো না বলে বিরোধী দলনেতার পদ জোটেনি। প্রথম মোদী সরকারে মল্লিকার্জুন খড়্গে, দ্বিতীয় মোদী সরকারে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদেও ছিলেন। রাহুল বিরোধী দলনেতা হলেও পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মণীশ তিওয়ারির মতো কোনো কংগ্রেস নেতাকে দেখা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন: