শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ

সিলেটে পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২০ জুন ২০২৪, ১৩:৫৫

সিলেটে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে যাওয়ায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল থেকে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি প্রায় সবকটি পয়েন্টেই কমেছে। তবে সবকটি পয়েন্টে পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।

বুধবারের (১৯ জুন) তুলনায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বৃষ্টিপাত অনেকটা কমেছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছিল সিলেট আবহাওয়া অফিস। আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এরআগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আজ বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সিলেটের আকাশে সূর্যের দেখা না মিলেলেও অনেকটা পরিষ্কার ছিল। তবে আবহাওযার পূর্বাভাসে সিলেটে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।

এদিকে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সিলেটের অধিকাংশ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ ও সদর উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেছে। তবে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা এখনও কমেনি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১৬ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ১১টায় তা আরও কমে ১৬ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে তা আরও কমতে থাকে। সর্বশেষ বেলা ১১টায় ১৩ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সর্বশেষ বেলা ১১টায় এই পয়েন্টে ১১ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টেও পানি কমেছে। এই পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ১১টায় তা আরও কমে ৯ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৮ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ১১টায় তা আরও কমে ৮ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৭ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১১০ দশমিক ২ মিলিমিটার।

তিনি আরও বলেন, সিলেটে আজ (২০ জুন) ও আগামীকাল (২১ জুন) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণও হতে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর