প্রকাশিত:
১৩ জুন ২০২৪, ১২:১৭
প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে নিজেদের তিনটি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে দেশটি। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। যা ছিল ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম ‘মডুলার’ স্টেডিয়াম। যা ৩ মাসের ব্যবধানে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিলে একটি পাবলিক পার্কে। যা চমকে দিয়েছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে। তবে এখন সেই স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই মাঠে বিশ্বকাপের মোট ৮টি ম্যাচ হয়েছে। যার মধ্যে ভারত-পাকিস্তান হাই ভোল্টেজ ম্যাচটিও ছিল। তাছাড়া এই মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। এই মাঠে সবচেয়ে বেশি ৩টি করে ম্যাচ খেলেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মাঠে সবশেষ ম্যাচটি ছিল ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের। আর সেই ম্যাচ দিয়েই এই মাঠের খেলা শেষ হয়েছে। আর যে কারণে এখন এই স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে পার্কের একটি মাঠকে বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে গড়ে দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উইকেট হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে আনা হয় ড্রপ ইন পিচ। স্টেডিয়ামের গ্যালারি গুলোকেও সাজানো হয় নিপুণ ভাবে। তবে পরে যাতে সরিয়ে নেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা রেখেই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করে যুক্তরাষ্ট্র। যা নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র খরচ করেছে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। বিশেষভাবে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করেছিলেন জ্যামাইকান কিংবদন্তি অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। এবারের টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও বিশ্বের এই দ্রুততম মানব।
তবে বিশ্বকাপের ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন এটি ভেঙে ফেলা হবে। অতি দ্রুতই স্টেডিয়াম ভাঙার কাজে হাত দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই ফের স্টেডিয়াম সরে গিয়ে পার্কে পরিণত হতে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামটি। যদিও ক্রিকেট প্রেমীদের চাওয়া ছিল ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের অন্যতম এই ভেন্যুটি রেখে দেওয়া হোক। তবে সেটা করবে না যুক্তরাষ্ট্র। কেননা, এবারের বিশ্বকাপে এই মাঠের উইকেট নিয়ে বিতর্কও যে কম হয়নি। এখানে রান করা রীতিমতো ব্যাটার কাছে যুদ্ধের মতো। যা নিয়ে সমালোচনা করেছেন প্রায় সবাই।
মন্তব্য করুন: