শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ

পাকিস্তানের এমন হারের যে ব্যাখ্যা দিলেন বাবর আজম

খেলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৪, ১১:৩৬

১১৯ রান তাড়ায় পাকিস্তানের শেষ ৬ ওভারে দরকার ছিল ৪০ রান, হাতে ছিল ৭ উইকেট। আর এই ম্যাচটিই পাকিস্তান হেরে বসেছে ৬ রানে। যে হারে পাকিস্তানের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে।

নিউইয়র্কে কাল পাকিস্তানের এমন হারের কারণ কী? অল্প রান তাড়ায় তাদের কৌশল আসলে কী ছিল আর সেটা করতে গিয়ে ভুলগুলো কোথায় হয়েছে, এসবেরই উত্তর খুঁজছেন কৌতূহলীরা। ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণীতে এর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়কের মতে, পাওয়ার প্লের ব্যাটিং, লাগাতার ডট বল আর নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন তাঁর দলকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে।

লক্ষ্য তাড়ায় ১২ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ২ উইকেটে ৭২। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে ফখর জামান আউট হওয়ার পর খেই হারায় পাকিস্তানের ব্যাটিং। হার্দিক পান্ডিয়ার ওই ওভারে আসে মাত্র ১ রান। ১৪ থেকে ১৯—এই ছয় ওভারে পাকিস্তান একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি। বরং একের পর উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়েছে।

ম্যাচ শেষে ইনিংসের শেষের দশ ওভারের ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে ভারতের বোলিংয়েরও প্রশংসা করেছেন বাবর, ‘আমার মনে হয় প্রথম দশ ওভারের পর ওরা (ভারত) ভালো বোলিং করেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ১২০, প্রথম দশ ওভারে বলপ্রতি রান নিয়েছি। কিন্তু এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়েছি, বেশ কিছু ডট বল হয়েছে। কৌশলটা একদম সরলই ছিল। স্বাভাবিক ব্যাটিং, স্ট্রাইক রোটেট করা, ওভারে ৫-৬ রান আর মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি। কিন্তু ওই সময় আমরা অনেক ডট বল দিয়েছি। এতে চাপ বেড়েছে। আমরা দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। আর (শেষ মুহূর্তে) টেলএন্ডারদের কাছ থেকে তো খুব বেশি আশা করা যায় না।’

বাবর অবশ্য শেষ দশ ওভারের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পাওয়ারপ্লের ব্যর্থতার দায়ও দেখছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবরের উদ্বোধনী জুটি ৪.৪ ওভারে তোলে ২৬ রান, ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে পাকিস্তানের রান ছিল ৩৫। ম্যাচের এই অংশেও পাকিস্তান লক্ষ্যপূরণ করতে পারেনি বলে মনে করেন বাবর, ‘আমরা প্রথম ছয় ওভারেও যথেষ্ট ভালো খেলিনি। লক্ষ্য ছিল ৪০-৪৫ রান তোলা। কিন্তু সেটা করতে পারিনি।’

ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য পিচের কোনো ভূমিকা নেই বলেও জানান পাকিস্তান অধিনায়ক, ‘পিচ ভালো। বল ভালোভাবেই ব্যাটে আসছিল। কিছুটা মন্থর ছিল। কিছু বল বাড়তি বাউন্সও হচ্ছিল। কিন্তু এ ধরনের ড্রপ-ইন পিচে এমনটা হতেই পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের কাছে হারায় পাকিস্তানের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ, ওই দুই দলেরই দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট করে আছে। পাকিস্তান শেষ দুই ম্যাচে জিতলেই সুপার এইটে উঠবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের ম্যাচেও। বাবর আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে, ‘এখন শেষ দুই ম্যাচ জিততেই হবে। আমরা বসে ভুলগুলো নিয়ে কথা বলব। দেখা যাক, শেষ দুই ম্যাচে কী হয়।’

পাকিস্তানের পরের ম্যাচ ১১ জুন কানাডার বিপক্ষে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ ১৬ জুন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর