প্রকাশিত:
৬ জুন ২০২৪, ১৭:৩৪
প্রতিভার কোনো কমতি নেই, তবুও অনেক দিন ধরে ডাচদের হাতে ধরা দিচ্ছে না কোনো সাফল্য। ফরোয়ার্ড কোডি হাকপো মনে করছেন, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৩ যুগের শিরোপা খরা ঘুচাতে হলে খেলতে হবে একটা দল হয়ে। আস্থা রাখতে হবে পরস্পরের ওপর।
অতীতে কয়েকবার নেদারল্যান্ডস দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা বাইরে এসেছে। ইউরোর কয়েকটি আসরে বিশেষ করে ১৯৯৬ ও ২০১২ সালে তাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার কারণ হিসেবে মোটাদাগে দায়ী করা হয় দলের মধ্যে বিভাজনকে।
১৯৯৬ ইউরোতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোনোমতে গ্রুপ পর্ব পার করা ডাচরা কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল। দলের মধ্যে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠার পর টুর্নামেন্ট চলাকালেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল মিডফিল্ডার এডগার ডেভিডসকে।
২০১২ আসরে গ্রুপ পর্বই পার করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। গ্রুপে সবার নিচে থেকে বিদায় নেওয়ায় সে সময় অন্তর্দ্বন্দ্বকে দায়ী করেছিলেন তারকা উইঙ্গার আরিয়েন রবেন।
এবারের ডাচ দলটিও বেশ শক্তিশালী। তাদের স্কোয়াডে আছেন লিভারপুলের অধিনায়ক ও তারকা ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক, বার্সেলোনার মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার নাথান আকে। হাকপো মনে করছেন, ইউরোর শিরোপা পুনরুদ্ধার করার সামর্থ্য রয়েছে তাদের। এখন কেবল প্রয়োজন একে অপরকে সাহায্য করা।
জার্মানিতে ১৯৮৮ সালে ইউরো জয়ের স্বাদ পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান করতে মুখিয়ে আছে দলটি। হাকপো বললেন, তাদের নিয়ে বাইরে কি ভাবা হচ্ছে সেটায় কান দিচ্ছেন না তারা।
“আমি মনে করি, প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে। কাগজে-কলমে আমরা খুবই বড় একটি দল, যাদের আছে তারকা সব খেলোয়াড়। তবে আমি মনে করি, পরস্পরকে নিয়ে দল হিসেবেও আমরা শক্তিশালী। আমরা পরস্পরের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করি, কারণ দীর্ঘ দিন ধরে আমরা একে অপরকে চিনি। আমরা সতীর্থের সামর্থ্য সম্পর্কে জানি। তাই নিজেদের নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক।”
“আমি জানি না, আমাদের সম্পর্কে বাইরের বিশ্বের ধারণা কী, কিন্তু আমরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জন করতে চাই এবং সেটি হচ্ছে ইউরো জেতা। এটা খুব কঠিন হতে যাচ্ছে, কিন্তু এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় এবারের ইউরো শুরু হবে আগামী ১৪ জুন। দুই দিন পর পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে ডাচরা। এর আগে বৃহস্পতিবার কানাডা ও আগামী সোমবার আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা।
মন্তব্য করুন: