প্রকাশিত:
৪ জুন ২০২৪, ১৬:৪২
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা হলে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা অর্থনীতির দেশটির ৭৩ বছর বয়সী এই হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতার সঙ্গেই আরও পাঁচ বছর কাজ করতে হতে পারে পশ্চিমা বিশ্বের।
মোদির নেতৃত্বে ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসনের জন্য জোর তদবির চালিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তাকে মনে করেছেন চীনের বিপরীতে এক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে। মানবাধীকারকর্মীরা অবশ্য মোদির শাসনের মধ্যে কর্তৃত্ববাদ দেখতে পাচ্ছেন, যার সমালোচনাও কম নয়।
নরেন্দ্র মোদি একইসঙ্গে অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছেন। ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সর্বাধুনিক ড্রোন কিনছেন তিনি, ফ্রান্স থেকে যুদ্ধবিমান ও সাবমেরিন কেনার পথে রয়েছেন। আবার রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার নিন্দায় তাকে বিশেষ সরব হতে দেখা যায়নি। উল্টো জাতিসংঘে ভোটাভুটিতে রাশিয়ার পক্ষ নিতে দেখা গেছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দেশটিকে।
চীনের সঙ্গে ভারতের বিরোধ থাকলেও ব্রিকস জোটে রয়েছে দেশ দুটো। এই জোটকে শক্তিশালী করার উদ্যোগেও রয়েছেন মোদি। অন্যদিকে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরিতা নিরসনে তাকে সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। ২০১৫ সালে অবশ্য একবার দেশটি সফর করেছিলেন তিনি।
এদিকে সর্বশেষ প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৪ আসনে এগিয়ে, অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট ২২৯ আসনে। ভারতের ৫৪৩ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন।
মন্তব্য করুন: