প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২৪, ১৫:১১
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায় সংখ্যালঘুদের ৬০০ বিঘা জমি দখল করেছেন বেনজীর। সেই জমির একাংশে তৈরি করেছেন ইকো পার্ক।
খবরে বলা হয়েছে, পদে থাকাকালীন ভয় দেখিয়ে হিন্দুদের এসব জমি দখল করেছেন বেনজীর।
তার দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর ঘটনার তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জুয়েলের বক্তব্য প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইম। তার বক্তব্য- এখানে বেনজীর আহমেদের লোকেরা এসে প্রথমে ড্রোন উড়িয়ে জমির সমীক্ষা করে ও মানচিত্র তৈরি করে। এর পর আমাদের সেই জমি লিখে দিতে বাধ্য করে।
জমি না লিখে দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বেনজিরের লোকজন। বাধ্য হয়ে আমরা জমি লিখে দিয়েছি। চাষবাসই ছিল আমাদের ভরসা। এখন জমি হারিয়ে কোনোক্রমে বেঁচে আছি।
শুধু গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নয়, গাজীপুর, কালীগঞ্জেও বেনজীরের বিরুদ্ধে হিন্দুদের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন ও স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
গত ২৩ মে আদালতের আদেশে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে গত ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কম্পানির শেয়ার ও গুলশানে ৪টি ফ্লাট জব্দের আদেশ দেন। গত ২৩ মে তাদের নামীয় ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: