সোমবার, ৭ই অক্টোবর ২০২৪, ২১শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি: সিপিডি
  • অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামালসহ গ্রেপ্তার ৪

ইলন মাস্ক:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের সব চাকরি কেড়ে নেবে

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
২৫ মে ২০২৪, ১৩:০৮

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের সব ধরনের চাকরি কেড়ে নেবে, এমনটাই বলেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (২৩মে) প্যারিসে ভিভাটেক ২০২৪- প্রযুক্তি সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইলন মাস্ক বলেন, সম্ভবত আমাদের কারোরই চাকরি থাকবে না। আগামীতে এমন একটি ভবিষ্যত আসবে যেখানে চাকরি হবে ‘ঐচ্ছিক’।

তিনি বলেন, ‘আপনি যদি চাকরি করতে চান, তবে আপনি শখের বসে চাকরি করতে পারেন। অন্যথায় এআই এবং রোবটগুলো আপনার পছন্দ মতো আপনাকে সকল পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করবে।’
তবে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সর্বজনীন আয়ের ধারণা তুলে ধরেছেন মাস্ক। সর্বজনীন মৌলিক আয়ের সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে।

তবে এই সর্বজনীন উচ্চ আয়ের বিষয়টি কেমন হবে, তা স্পষ্ট করেনি। একজন ব্যক্তি কত আয় করে, তা নির্বিশেষে সরকার প্রত্যেককে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে তাকে সর্বজনীন মৌলিক আয় (ইউবিআই) বলে। মাস্ক বলেন, ‘পণ্য বা পরিষেবার কোনো ঘাটতি হবে না।’

বিগত কয়েক বছরে এআই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এটা খুবই দ্রুত গতিতে হয়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রক, কম্পানি এবং ভোক্তারা এখনও কীভাবে দায়িত্বশীলভাবে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করবেন তা বুঝে উঠতে পারছে না। বাজারে এআই প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শিল্প এবং চাকরি কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা।

গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবের গবেষকরা দেখেছেন, বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র প্রত্যাশার ও আশঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি ধীরে ধীরে এআই গ্রহণ করছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এআই ব্যবহার করে কাজ করাটা বেশিরভাগ নিয়োগকর্তাদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ছিল না।

বিশেষজ্ঞরা অনেকাংশে বিশ্বাস করেন অনেক চাকরি, যেখানে উচ্চ মানসিক বুদ্ধিমত্তা এবং মানুষের মিথস্ক্রিয়া প্রয়োজন পড়ে সেখানে এআই দিয়ে কাজ করানোর প্রয়োজন হবে না। যেমন মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসক, সৃজনশীল কাজ এবং শিক্ষক।

এআই নিয়ে মাস্ক তার উদ্বেগের বিষয়ে স্পষ্টবাদী হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩মে) তিনি প্রযুক্তিকে তার সবচেয়ে বড় ভয় বলে। তিনি লেখক ইয়ান ব্যাঙ্কসের ‘কালচার বুক সিরিজ’ বইগুলো কথা বলেছেন। যেখানে উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত একটি সমাজের কল্পিত রূপের কথা বলা হয়েছে। বইগুলোতে থাকা এসব কল্পিত রূপ বাস্তবসম্মত এবং ভবিষ্যৎ এআই সম্পর্কে সেরা ধারণা তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

তবে চাকরিবিহীন ভবিষ্যতে মানুষ নিজেকে মানসিকভাবে পরিপূর্ণ বোধ করবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার এবং রোবট যদি আপনার চেয়ে ভালভাবে সবকিছু করতে পারে তবে আপনার জীবনের কী অর্থ থাকবে?’

মাস্ক অভিভাবকদের অনুরোধ করেছেন, শিশুরা যেনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার সীমিত করে। কারণ শিশুদের আকৃষ্ট করতে এআই ব্যবহার করছে এসব প্ল্যাটফর্ম।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর