প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৪, ১৬:০২
প্রথমবারের মতো পশ্চিম তীরে বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে চার ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। বসতি স্থাপনকারীরা হলেন ডেভিড চাই চাসদাই, ইয়িনন লেভি, জাভি বার ইয়োসেফ এবং মোশে শারভিত। কানাডা সরকার বলছে, চারজনই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক ও সম্পত্তির বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত ছিলেন।
এর আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
কানাডার ইতিহাসে এই প্রথম কারো বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে প্রচলিত ‘স্পেশাল ইকোনোমিক মেজার্স অ্যাক্ট’ নামের একটি আইনের আওতায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের (পশ্চিম তীরে) বিরুদ্ধে ‘হিংসাত্মক ও অস্থিতিশীল’ পদক্ষেপের জন্য প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে লেনদেন এবং কানাডায় তাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
মন্ত্রণালয় বিবৃতি জারির পর কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়ে জোলি এক বার্তায় বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি পশ্চিম তীর সফরে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ইসরায়েলি বসতকারীদের সহিংসতার ব্যাপারে আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পারি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, নানা অত্যাচার ও সহিংসতার মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজ বাড়ি ও কৃষিভূমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন বসতকারীরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে আমরা ইসরায়েলকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে কানাডা কখনও ইসরায়েলি বসতকারীদের সহিংসতা সমর্থন করবে না এবং যেসব বসতকারী এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট, তাদেরকে ফলাফল ভুগতে হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত, যথাযথ এবং টেকসই শান্তি স্থাপনে সেখানকার অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই শান্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ হলো দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধ বসততি স্থাপান এই সমাধানের পথে বড় একটি বাধা।
মন্তব্য করুন: