প্রকাশিত:
৯ মে ২০২৪, ১৫:৫০
ইসরায়েলকে বোমা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই বোমা গাজায় ব্যবহার করেছে ইহুদিবাদী দেশটি। এতে অনুতপ্ত বাইডেন।
সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “ওই বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।”
বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “ইসরায়েল যদি রাফায় আক্রমণ করে, তাহলে আমেরিকা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে না।”
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বারবার ইসরায়েলকে বলেছে, তারা যেন দক্ষিণ গাজার শহর রাফায় আক্রমণ না করে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা রাফায় সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছে, যা এখন ১২ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।
ইসরায়েলি সেনারা রাফার পূর্ব দিকে হামাসের টার্গেটে আঘাত করতে চায়। সেজন্য তারা হাজার হাজার মানুষকে জায়গা খালি করে চলে যেতে বলেছে।
এদিকে, রাফায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলে স্থানীয় কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশুও আছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তারা মারা যায় বলে কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, লড়াই শুরুর পর থেকে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জন মারা গেছেন। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দফতর মৃতের যে সংখ্যা দেয়, তার মধ্যে কতজন বেসামরিক সাধারণ মানুষ ও কতজন সন্ত্রাসী তা আলাদা করা হয় না। এটা বাইরের কোনও সংগঠনের পক্ষে স্বাধীনভাবে যাচাই করাও সম্ভব হয় না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, মোট মৃতের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিশু।
হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল-সহ কয়েকটি দেশ।
বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, রাফায় ইসরায়েলি আক্রমণ চলছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা প্রচুর হামাস সন্ত্রাসীকে মেরেছে।
ইউএনএফপিএ বুধবার জানিয়েছে, রাফার প্রধান মেটারনিটি হাসপাতাল আর নতুন করে কোনও রোগীকে ভর্তি করছে না।
ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ ভাঙা
ওয়াশিংটনে পুলিশ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের তৈরি করা ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়েছে।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ পেপার স্প্রে ব্যবহার করে। ৩৩ জনকে বেআইনিভাবে ঢোকা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের আক্রমণ করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করার পর পুলিশ এই ব্যবস্থা নেয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রথমে কাউকে গ্রেফতার না করে পরিস্থিতি সামলাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিক্ষোভও তীব্র হয়। তারপর তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।
নেদারল্যান্ডসেও আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন: