প্রকাশিত:
৮ মে ২০২৪, ১৪:৩৫
বৈশাখের তাপদাহে অনেকেই নানা ধরনের অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা এখন সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও আবারও তীব্র গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। গরমের কারণে অনেকের ত্বকের লাবণ্যও কমে গেছে। তীব্র তাপদাহে এবার ছোট-বড় সবার মধ্যেই কমবেশি পেটের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এজন্য এই সময় লিভার সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। কারণ সুস্থ থাকতে লিভার ভালো রাখার বিকল্প নেই। তবে নিজেদের কিছু বদভ্যাসের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই গরমে সুস্থ থাকতে সচেতন হতে হবে।
অনেকেই আছেন যারা সারা বছরই লিভারের সমস্যায় ভোগেন। মূলত খাওয়ার অনিয়মের কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, লিভার ভালো রাখতে তেল মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে কিছু ফল। ডিহাইড্রেশন, উচ্চ আর্দ্রতা এবং তাপ লিভারের ক্ষতি করতে পারে। তাই গ্রীষ্মে আপনার লিভারের বাড়তি যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই গ্রীষ্মে লিভার ভালো রাখতে কী খাবেন
পুষ্টিবিদরা বলছেন, লিভার পরিষ্কার করতে আপনার গ্রীষ্মকালীন ডায়েটে যোগ করা উচিত এমন কিছু খাবার যা আপনাকে সুস্থ রাখবে। যেমন-
বেরি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ব্লুবেরি , ব্ল্যাকবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরিগুলি লিভারকে ডিটক্স করতে এবং হেপাটিক ফাংশন উন্নত করতে সাহায্য করে।
সাইট্রাস ফল: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকী, কমলালেবু, লেবুর মতো সাইট্রাস ফল লিভারের জন্য খুবই উপকারী। গরমে সুস্থ থাকতে এগুলো এমনি কিংবা জুস করেও খেতে পারেন।
টমেটো: আজকাল সারাবছরই টমেটো পাওয়া যায়। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টমেটোতে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি পটাসিয়াম রয়েছে। এসব উপাদান লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
সালফার সমৃদ্ধ সবজি: পেঁয়াজ এবং রসুন হল সালফার সমৃদ্ধ সবজি যা আপনার লিভারের জন্য খুবই ভালো।
মুরগি এবং ডিম: কুসুম সহ পুরো ডিম এবং মুরগি কোলিন সমৃদ্ধ, যা শরীরে গ্লুটাথিয়ন কার্যকলাপে সহায়তা করে। ডিমের সেলেনিয়াম এবং সালফারও লিভারের জন্য উপকারী।
তরমুজ : তরমুজ শুধু সুস্বাদু এবং হাইড্রেটিং গ্রীষ্মকালীন ফল নয়, এটি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তরমুজ লিভারের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এতে থাকা পর্যাপ্ত পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে এবং লিভারের কার্যতারিতা সচল রাখতে ভূমিকা রাখে।
হলুদ : হলুদে কারকিউমিন নামে এক ধরনের যৌগ রয়েছে, যা এর শক্তিশালী প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়া লিভারের প্রদাহ কমাতে এবং লিভারের কোষের অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। লিভারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিনের রান্নায় হলুদ যোগ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় কাঁচা হলুদের স্মুদি তৈরি করতে পারলে।
মন্তব্য করুন: