রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে
  • আবারও যাত্রাবাড়ী মোড় অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে

আদা ও হলুদের কি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৬ মে ২০২৪, ১৮:০২

আদা ও হলুদের উপকারিতা অনেক। দুটিই দারুণ ভেষজ উপাদান। মসলা হিসেবে রোজকার রান্নায় পরিমাণমতো আদা ও হলুদ ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন পানীয়ের উপকরণ হিসেবে খাই আমরা। এতে কোনো ক্ষতি নেই, বরং উপকারই পাবেন। তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা ঠিক নয়। আদা ও হলুদের বেলায়ও এ কথা খাটে।

হলুদে বিদ্যমান কারকিউমিন প্রদাহ উপশমে সাহায্য করে। সাধারণ সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় হলুদ খেলে উপকার পাবেন। কাশি-গলাব্যথায় আদা মেশানো পানীয়ও কাজে আসে। হলুদের আবার অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট গুণও অনেক। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মাসিকের সময়ের পেটব্যথা ও গর্ভাবস্থায় বমিভাব উপশমে আদা কার্যকর। তবে অতি উৎসাহী হয়ে বেশি বেশি উপকার পাওয়ার জন্য বেশি বেশি আদা কিংবা হলুদ খেতে যাবেন না!


আদা ও হলুদের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন বুক জ্বালাপোড়া, পেটে অস্বস্তি কিংবা পাতলা পায়খানা। কারও কারও আবার অ্যালার্জিও হতে পারে। তা ছাড়া কোনো কোনো ওষুধের সঙ্গে অতিরিক্ত আদা বা হলুদ খেলে ওষুধের কার্যকারিতার ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। এ তথ্য দিলেন রাজধানীর আজিমপুরের গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান।

তবে এর মানে কিন্তু এমনটাও নয় যে আপনি কোনো ওষুধ সেবন করলেই আপনাকে হলুদ ছাড়া খাবার খেতে হবে। যে কেউ খাবার রান্না করার সময় মসলা হিসেবে তো বটেই, পানীয় তৈরির সময়ও উপকরণ হিসেবে হলুদ বা আদা যোগ করতে পারেন অনায়াসে। দুধের সঙ্গে সামান্য হলুদ আর কালো গোলমরিচ মিশিয়ে খেতেও বাধা নেই। হলুদ দেওয়া সালাদ ড্রেসিংও আপনার জন্য নিষিদ্ধ নয়। আদা মেশানো স্যুপও খেতে পারেন। আদা বা হলুদ দিয়ে চা, এমনকি স্মুদি তৈরি করা চলে।


মোটকথা, স্বাভাবিকভাবে খাবার বা পানীয় প্রস্তুত করতে যে পরিমাণ হলুদ বা আদা প্রয়োজন হয়, তা গ্রহণের বিষয়ে কারও জন্যই কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে যদি কারও এসবের কোনোটিতে অ্যালার্জি থেকে থাকে, তাহলে ভিন্ন কথা।

আর সাপলিমেন্ট বা কোনো ওষুধ হিসেবে প্রস্তুত করা বিশেষ কিছু যদি আপনি গ্রহণ করতে চান, যাতে আদা কিংবা হলুদ আছে, তাহলে আপনাকে এসব উপাদানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এসবে কিন্তু স্বাভাবিক রান্না বা পানীয়ের চেয়ে আদা বা হলুদের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকতে পারে। তাই এসব সেবনে সতর্ক থাকুন। আদা বা হলুদের উপকারিতা পাওয়ার জন্য বাড়িতে তৈরি খাবার ও পানীয় গ্রহণই নিরাপদ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর