শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

এবার সব বিভাগে তালা দিলেন চুয়েটের শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭

দুই সহপাঠির মৃত্যুর ঘটনায় এবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১২টি বিভাগে তালা ঝুলিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা এসব বিভাগের ফটকে তালা দেন।

সরেজমিন দেখা যায়, তালা দেওয়ার পর অনেক বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আটকা পড়েন।

অনেকে আগেই বেরিয়ে যান। এর আগে বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তাঁরা নানা স্লোগান দেন। পরে দলবদ্ধ হয়ে বিভাগগুলোয় গিয়ে তালা দেন তাঁরা।

এর আগে আজ সকাল ১০টায় কাপ্তাই সড়কে গাছ ফেলে চতুর্থ দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মূলত সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।


গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন তিন শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২), দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১) ও জাকারিয়া হিমু (২১)। চুয়েটের কাছাকাছি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি যাত্রীবাসী বাস। চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয় শান্ত ও তৌফিকের। আহত হন জাকারিয়া হিমু।

দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত নয়টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর। পরে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে আবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সড়কটি আজও বন্ধ রয়েছে।


চুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের ফাটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় ভেতরে শিক্ষাক কর্মচারীরা আটকা পড়েন। আজ দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজানের চুয়েট ক্যাম্পাসে

চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নে চুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থিত। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের একটি অংশ পড়েছে চুয়েট ক্যাম্পাসে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের পাহাড়তলী এলাকা অংশে অনেক মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। মোহাম্মদ সবুর নামের এক চালক বলেন, তিনি চট্টগ্রামের ফৌজদার হাট এলাকা থেকে রাঙ্গুনিয়ায় পাথর নিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল রাত থেকে তিনি অপেক্ষা করছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বেলা দেড়টা থেকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করছে কর্তৃপক্ষ। সভা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রথম আলোকে জানান সহ-উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর