মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আদালতে কামরুল-দীপু মনি-পলকদের ওপর ডিম নিক্ষেপ
  • বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী
  • প্লাস্টিক দূষণে বছরে ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু
  • ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন
  • সৌদিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসার জন্য ৫০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা, ৬ মাসের জেল
  • ময়মনসিংহ মেডিকেলে নারীসহ ১৪ দালাল আটক
  • ফের গাজাবাসীকে সমর্থন, যা বললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
  • চরম দরিদ্র ও গরিবের শ্রেণিবিভাজন
  • বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
  • ভারতীয় নারীদের মার্শাল আর্টে ফিরিয়ে আনছেন ‘মীনাক্ষী আম্মা’

আপনি কি এই গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খান? কী হয়, জানেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯

অনেকেই বাইরে থেকে ঘরে ঢুকেই ফ্রিজের দিকে দে ছুট! ফ্রিজের দরজা খুলে হাতে তুলে নেন ঠান্ডা পানির বোতল। তারপর ঢকঢক করে গলাধঃকরণ করেন। তারপর তাঁর মনে হয়, আহ শান্তি। তবে এই শান্তির সঙ্গে সঙ্গে আপনি কিন্তু কিছু ঝুঁকিকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

টনসিল–ঠান্ডা–কাশি–জ্বর

গরমের মধ্যে বাইরে থেকে ফিরেই সরাসরি ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি খেলে গলা খুসখুস থেকে শুরু করে ঠান্ডা লাগা পর্যন্ত অনেক আশঙ্কাই আছে। শরীরের তাপমাত্রা সাধারণভাবে ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের কিছু অংশের তাপমাত্রা হুট করে কমে যায়। বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে শরীর।

ফলে নিয়মিত এ রকম ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে মিউকাস বা শ্লেষ্মা বেড়ে টনসিলের সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা, দাঁতে ব্যথা, খাদ্যনালির সমস্যা, সর্দি, কাশি বা জ্বরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তৈরি হওয়া মিউকাস বা শ্লেষ্মা শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি করে। তখন নানা প্রদাহযুক্ত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের গলায় শ্বাসনালির ওপরের অংশে কিছু ‘সুবিধাবাদী জীবাণু’ বাস করে। সুবিধাজনক অবস্থা পেলেই এরা আক্রমণ করে। যখন চারপাশে গরম, তখন হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি গলায় গেলে গলার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। ঠান্ডা পানিতে এই জীবাণুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।

মাসল টেনশন

ঠান্ডা পানি গলার যেদিক দিয়ে যায়, ‘মাসল টেনশন’–এর ফলে সেখানকার রক্তনালিকে সংকুচিত করে। ফলে কিছু সময়ের জন্য স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। যদি গলায় বা ওই সব জায়গায় কোনো ধরনের সংক্রমণ হয়ে থাকে, সেটা সেরে ওঠার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। আর আপনার আগে থেকেই ঠান্ডা লেগে থাকলে তো কথাই নেই! নাক বন্ধ হতে সময় লাগবে না। পাকস্থলীর আশপাশের রক্তনালি ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এসে সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।


হৃৎস্পন্দন ‘ড্রপ’ করতে পারে

ঠান্ডা পানি সাময়িক সময়ের জন্য স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনে বাধা দেয়। দশম ক্র্যানিয়াল নার্ভ বা ভেগাস নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। ফলে হৃৎস্পন্দনের পতন ঘটে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। যাঁদের সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাদের ঠান্ডা পানি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

হজমে বাধা

হজমের সময় যে পুষ্টি শোষিত হয়, সেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেয় ঠান্ডা পানি। শরীর তখন হজমপ্রক্রিয়ার চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শরীরে বেশি পানিশূন্যতা দেখা যায়।

চর্বিজাতীয় পদার্থ জমে যাওয়া

শরীরের চর্বিজাতীয় পদার্থ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এসে জমে যায়। ফলে সেগুলো শোষণ করা বা পুড়িয়ে ফেলা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এমনিতেই চর্বিজাতীয় পদার্থ হজম করতে শরীরে সবচেয়ে বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। তাই কিছু ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে শরীর তো ঠান্ডা হবেই না, আরও গরম হবে। আর ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।


দাঁতের শিরশিরানি

ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেল অংশটাকে দুর্বল করে তোলে। তখন দাঁতে যেকোনো সংক্রমণের সুযোগ তৈরি হয়। আর ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে দাঁতে শিরশিরেভাব হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

কারা একেবারেই খাবেন না ঠান্ডা পানি

যাঁদের ঠান্ডা–কাশি, দাঁতের সমস্যা, কোল্ড এলার্জি, হার্টের সমস্যা, মাথাব্যথা, সাইনাস আছে, সদ্য অপারেশন হয়েছে অথবা ওজন কমাতে চান— তাঁরা একেবারেই খাবেন না। এ ছাড়া খাওয়ার পরপরই ঠান্ডা পানি খাবেন না। একান্তই যদি খেতে হয়, খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে খান। অবশ্যই ঠান্ডা পানির সঙ্গে সমপরিমাণ বা বেশি স্বাভাবিক পানি মিশিয়ে খাবেন।


গরমের দিনেও সকালে নিয়ম করে কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। এটা নিয়মিত করলে খুব সহজেই পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। এমনকি হজমক্ষমতাও বেড়ে যাবে। গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যাও হবে না।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর